দর্শকদের আগ্রহের জায়গা থেকে বলা যায় এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, ‘কারাগার’ দিয়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরিজটি পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকি; অভিনয়ে থাকা চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিণসহ সবাই।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ ১৯ আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল সিরিজটির প্রথম সিজন। এরপর থেকেই দ্বিতীয় সিজন কবে আসবে সেই অপেক্ষা দিন গুনছিলেন দর্শকরা।
‘কারাগার ২’ মুক্তি উপলক্ষে হইচই-এ একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। যেখানে উপস্থাপকের আসনে রয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেখানে অনির্বাণের মন্তব্য ধরেই বলতে হয়, চঞ্চল চৌধুরী চোখের অভিব্যক্তি দিয়ে চরিত্রের যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেন সেটিই যেন তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানাকে প্রমাণ করে।
শেষ হয়েছে অপেক্ষার পালা, সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায় ২২ ডিসেম্বর। আবারো দর্শকরা বুদ হলেন দারুণ এক নির্মাণ দেখতে। আর এই পুরো সিরিজ ঘিরে যাকে নিয়ে এত আলোচনা তিনি চঞ্চল চৌধুরী।
দ্বিতীয় সিজনে দেখানো হয়েছে সিরিজটিতে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের তরুণ বয়স। এতে অভিনয় করেন দিব্য জ্যোতি। যিনি কিনা লেখক ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি দম্পতির সন্তান।
সিরিজটির শেষাংশ মুক্তির পর দিব্য জ্যোতির একটি কবিতা ফেসবুকে শেয়ার করেন চঞ্চল চৌধুরী। এরসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘অভিনয় আর জীবন কখন যে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে, বুঝতে পারিনি, কারাগার-২ চলে এসেছে হইচই’তে। যারা দেখেছেন, তারা ভেবেছেন আমি হয়তো অভিনয় করেছি, ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না। আমার মায়ের জন্য আমার যতটা আবেগ, যতটা কষ্ট, যতটা ভালোবাসা, কারাগার-২ তে আপনারা সেটাই দেখেছেন।’
দিব্য জ্যোতির কবিতার প্রসঙ্গে টেনে চঞ্চল আরো লেখেন, ‘দিব্য’র অভিনয়ও আমার কাছে অভিনয় মনে হয়নি। আমার চোখের জলের সঙ্গে দিব্য’র চোখের জল মিশে গিয়ে অন্য এক আবেগের জন্ম দিয়েছে কারাগার-২ তে। দিব্য’র সঙ্গে আমি এক ফ্রেমে দাঁড়াইওনি। তাহলে একই আবেগে কীভাবে দু’জন ভাসলাম চোখের জলে, দর্শকদের চোখও কীভাবে ভিজে গেল?- এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। ঠিক আরেকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছি সন্ধ্যা থেকে।’
চঞ্চল তার বাবার অসুস্থততার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘অনেকেই জানেন আমার বাবা প্রচণ্ড অসুস্থ। তেরো দিন বাবা আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শেষ সময়ে অপেক্ষারত আমরা সবাই। আমার অচেতন বাবার মনের কথা গুলো দিব্য কীভাবে লিখে ফেললো?’