চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেলে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।‘মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী’-এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি নিজে একজন নারী, নারী নেতৃত্বকে অগ্রধিকার দিচ্ছেন। মেট্রোরেলের প্রথম চালক ছিলেন নারী।
বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মাহি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আমি জিতবো। এই আসনে নৌকাকে এনে দেবো।’
মাহী বলেন, আমি বলে বুঝাতে পারবো না, আমার যে কত খুশি লাগছে, আমি যে কত গর্বিত। বাংলাদেশের ইতিহাস যত দিনের, আমি যে দলের নমিনেশন ফরম কিনেছি, সেই দলের বয়স ততদিনের। আমি সেই দলের নমিনেশন কিনেছি, এর চাইতে খুশির বিষয় হতে পারে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্য শুনলে বুঝতে পারবেন, তিনি নারী নেতৃত্বকে কতটুকু অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে আমি একজন নারী। আমার মনে হয়, সামনের যে ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয়, এই উন্নয়ন থেকে আমি আমার চাঁপাইনবাবগঞ্জকে পিছিয়ে থাকতে চাই না।
নির্বাচনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ও আমার স্বামী মিলে পরিকল্পনা তৈরি করছি। আজকের পর থেকে আরও দৃঢ়ভাবে কাজ করবো।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাপোর্ট কতটা পাবেন -এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহি বলেন, প্রচণ্ড সাপোর্ট। ফরম কেনার আগেই তাদের সঙ্গে বেশ যোগোযোগ হচ্ছে। তারা অনেক রকমভাবে সাপোর্ট করছে। তারা ফোন করছেন, তাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় আমি যখন গণসংযোগে যাই, তারা আমাকে সাপোর্ট করছে। ওখানকার নেতাকর্মীরা বেশ আন্তরিক। সবাই আমাকে খুব সাপোর্ট করছে।
ওবায়দুল কাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, আমি ইচ্ছা পোষণ করেছি যে আমি ফরম কিনতে চাই। আমি কি কাজ করেছি সেগুলো আমি বলেছি। তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছিলেন যে আমি যেনে জানাচ্ছি। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং তিনি বলেছেন- যে আমি নমিনেশন ফরম কিনতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, 'অভিনয়টা আমার বেইজ, ইন্ডাস্ট্রি আমাকে মাহিয়া মাহি বানিয়েছেন। আমার বেইজ আমি ছাড়বো না। রাজনীতি মানুষের সেবা করা। আমি মানুষের সেবাও করবো এবং আমার সিনেমা, ইন্ডাস্ট্রি ছাড়বো না।'
মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করবেন না জানিয়ে মাহি বলেন, মনোনয়ন না পেলে, আমার দলের যে মনোনয়ন পাবে, আমি তার হয়ে মাঠে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফলো করি। তিনি যে পরিমাণ সাহসী তার ছিটে ফোঁটা যদি আমি ভিতরে লালন করি তাহলে কোনো শক্তি, যতই শক্ত অবস্থানে থাকুক না কেন, আমি সেখানে ওভারকাম করতে পারবো।
মাহি বলেন, সব জায়গাতেই কঠিন। ভালো কাজ করতে গেলে সব জায়গা বাধা আসবে। আমি যখন চলচ্চিত্রে নতুন এসেছি সেই জার্নিটা এতো মসৃণ ছিল না। আমার এলাকার যারা রাজনীতি করেন তারা সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন। তারা আমাকে হেল্প করবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের আমার পিপ্রারেশন আছে। আমার দুইটি লক্ষ্য আছে, এক. আমার এলাকার জনগণের সেবা নিশ্চিত করা, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। দুই. সারা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতো পরিমাণে উন্নয়ন করেছেন, সেই উন্নয়ন সম্পর্কে আমার এলাকার মানুষকে অবহিত করা। প্রচারে প্রসার। আমার এলাকায় প্রচার করবো যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কী করেছেন।