গত ১০ জানুয়ারি রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর প্রথম জানাজানি হয়। পরে ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তার আগেরদিন হয় গায়েহলুদ। গত ১০ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পরী। রাজ-পরীর সন্তানের নাম রাখেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরীমণি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
আরেক অংশে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’ পরীমণি এই স্ট্যাটাস মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে।
বিয়ের এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদের সুর পরীমণির কণ্ঠে। রাজের সঙ্গে আর সংসার করা হবে না—সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই ঢালিউড নায়িকা।
আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পরীমণি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তার আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’
রাজ-পরীর বিচ্ছেদের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে শরিফুল রাজের বাবা জানান, রাজ-পরীর বিচ্ছেদ হয়নি। তারা এখনো এক সঙ্গে আছেন।’
তাহলে মধ্যরাতে পরী কেন এমন স্ট্যাটাস দিলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরিফুল রাজের বাবা মুসলিম মিয়া বলেন, ‘শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে কিছুটা দেরি হয়। যা নিয়ে পরী রাগ করে। এই বিষয়টা নিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। যার ফলে পরী এমন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকতে পারে।’
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এক নায়িকাকে ঘিরে সংসারে অশান্তি— এমন ইঙ্গিত দিয়ে কিছুদিন আগে একটি পোস্ট করেন পরীমণি। সেটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পরীমনি ও রাজের মধ্যে বেশ কয়েকদিন থেকেই সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। কিছুদিন আগে এ চিত্রনায়িকাই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তা সামনে এনেছিলেন।
তিনি অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে রাজকে জড়িয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তাদের দুজনের দীর্ঘ ফোনালাপ নিয়ে অনেক কথা বলেন।
পরীমনি সেসময় রাজ-মিমের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এসব বন্ধ করো’। তখন থেকে রাজ-মিমের প্রেম ও পরীর সংসারে ভাঙনের গুজব ছড়াতে থাকে।
তবে মিম বরাবরই রাজের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন।