ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সাতবার ব্যালন ডি’অর উঁচিয়ে ধরেছেন। এরপর আর সোনালী বলটা ছুঁয়ে দেখা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।এমনটাই জানিয়েছেন লিওনেল মেসি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে একসময় ব্যালন ডি’ অর নিয়ে ‘ঠাণ্ডা লড়াইয়ে’ মেতেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। একবার রোনালদো বিশ্বসেরা তো, তো আরেকবার মেসি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর পিছিয়ে পড়েন রোনালদো। এখন মেসির ঝুলিতে বিশ্বসেরার ট্রফি বেশি আছে দুইটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুটও পরেছেন। এবারের ব্যালন ডি’অরটাও যাবে তার ঝুলিতেই, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু মেসি নিজে এবার ব্যালন ডি ’অর নিয়ে আগের মতো আগ্রহী নন। পিএসজির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ইউরোপের ফুটবলকেই বিদায় বলে দিয়েছেন। ফলে এরপর আর ব্যালন ডি’অর জেতার সম্ভাবনা তার নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপ জেতার পর অন্তত এবারটার ক্ষেত্রে তার নাম সবার প্রথমদিকেই থাকবে। সেই সঙ্গে আছে পিএসজির জার্সিতে লিগ ওয়ানের শিরোপাও।
অথচ মেসির কাছে ফুটবলের সবেচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটার গুরুত্ব আর আগের মতো নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে এখন জাতীয় দলের সঙ্গে চীনে অবস্থান করছেন মেসি। সেখানেই চীনা সংবাদমাধ্যম ‘টাইটান স্পোর্টস’-কে তিনি বলেন, ‘ব্যালন ডি’অর আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কি না? না, এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি আগেও বলেছি ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে আমি ভাবি না, দলীয় সাফল্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার বিশ্বকাপ, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কারও। ‘
মেসি আরও জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন না তিনি। তবে সতীর্থদের উৎসাহ দিতে খেলা দেখবেন। তাকে প্রশ্ন করা হয় ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে। জবাবে তিনি জানিয়ে দেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা।
আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমার মনে হয় না (পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলবো)। ওটা ছিল (কাতার বিশ্বকাপ) আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি দেখতে চাই সবকিছু কেমন যাচ্ছে। কিন্তু মূল কথা হলো, পরবর্তী বিশ্বকাপ আমি খেলতে যাচ্ছি না। ’
মেসি জানিয়েছেন ‘সেখানে (স্টেডিয়ামে) বসে খেলা দেখতে পছন্দ করবেন’, কিন্তু নিজে ‘অংশগ্রহণ করবেন না। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের এই সিদ্ধান্ত অবশ্য নতুন নয়। কাতার বিশ্বকাপের পরপরই তিনি জানিয়েছেন পরবর্তী বিশ্বকাপে না খেলার কথা। তখন যদিও ভক্তরা সেটি মেনে নেননি। কিন্তু এখন মানতেই হবে, নিজের সিদ্ধান্তে অটুট আছেন সাবেক এই বার্সেলোনা লিজেন্ড।