বিএনপি বিদেশীদের কাছে যায়, ধরনা দেয়- আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন সমালোচনার জবাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিদেশীদের কাছে যাই না, বিদেশীরা আমাদের কাছে আসে। তারা আমাদের কাছে জানতে চায়, দেশ কিভাবে চলছে? তোমরা কি বলতে চাও? তিনি বলেন, এবার আর মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না। রাখাল বালক আর বাঘের কথা আমাদের মনে আছে। এবার আর রাখাল বালকের কথায় কেউ যাবে না মানুষ দাঁড়িয়ে গেছে। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। রাজপথে এর ফায়সালা হবে। কারণ কোনোদিনও তারা ক্ষমতায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়নি। তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়- এটা কেউ বিশ্বাস করে না।
রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘জ্যোতির্ময় খালেদা জিয়া ও দীপ্তিমান তারেক রহমান’ শীর্ষক বই- এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমরাও ভিসা নীতি তৈরি করব- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এর কি উত্তর দেবো? আপনারাও ভিসা নীতি করেন দেখি। মূল কথা হচ্ছে জাতি চরম বিপদে আছে এর থেকে উদ্ধার করতে হবে।
আমরা কাউকে খাটো করি না- এ কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ তাজউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কাউকেই স্মরণ করে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি বলেছিলাম বেগম খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এটা বলার পর আমার ওপর ঝড় উঠল। বেগম খালেদা জিয়া যদি মুক্তিযোদ্ধা না হন তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কে?
‘জ্যোতির্ময় খালেদা জিয়া ও দীপ্তিমান তারেক রহমান’ শীর্ষক বইয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনসভায় খালেদা জিয়া- এমন ক্যাপশনের ছবিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। তবে বইয়ের প্রস্তুত মির্জা ফখরুলের ভালো লেগেছে বলে জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালে তো বিএনপি নির্বাচনেই যায়নি। এটা নির্বাচনী জনসভা হতে পারে না। এটা জনসভা হতে পারে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এখন কেউ বই পড়ে না, এখন দেখে আর শোনে। প্রযুক্তির কারণে মানুষের চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজমেরী এস ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।