প্রায় এক বছর নাটকে কোনো শুটিং করেননি মেহজাবীন চৌধুরী। তবে নাটক ‘পুনর্জন্ম’ অন্তিম পর্ব দিয়ে এই ঈদে ছোট পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। মেহজাবীন বলেন, ‘অনেক দিন পর নাটকের শুটিং করলাম। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ফ্যানদের অনেকে নতুন নাটক না পেয়ে আমার পুরোনো নাটক দেখা শুরু করেছেন। এই ঈদে অন্তত এই একটি কাজ হলেও তাঁদের দিতে পারব।
অনেক দিন পর কাজ করলেও এখনো নাটকে তাঁর নিয়মিত কাজের বিষয়টি অনিশ্চিত। এ ব্যাপারে মেহজাবীন বলেন, ‘এ সময়ে এসে যে ধরনের চরিত্র করতে চাই, পাচ্ছি না। দুই বছর আগে যেসব চরিত্রে কাজ করেছি, ঘুরেফিরে সে রকমের কাজই আসে। এক যুগের বেশি সময় কাজ করে আসছি, এখন একটু চ্যালেঞ্জিং, একটু নতুনত্ব আছে—এমন কাজ করতে চাই আমি। সেটি রোমান্টিক, থ্রিল বা ফ্যান্টাসি হোক না কেন। ওটিটিতে কিছু পাচ্ছি, সেখানে কিছু কাজ করছিও। কিন্তু নাটকে দর্শকের নতুন কিছু তো দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। দিতে না পারলে দর্শকেরাও আমার কাজে একঘেয়ে হবেন। তাঁরা বলবেন, মেহজাবীন ঘুরেফিরে একই রকমের কাজ করে।
ছোট পর্দার এই তারকার ভাষ্য, ‘প্রায় এক বছর নাটকে কাজ করিনি। বসে থাকতে আমারও ভালো লাগে না। নিশ্চয়ই নয়। আমার প্রথম জায়গা অভিনয় । তা যেকোনো মাধ্যমেই পছন্দের চরিত্র, গল্পে কাজ করতে চাই। নাটকে সেভাবে পাচ্ছি না।’
তবে নাটক না করার কারণে নাটকের শুটিং ইউনিট, সহশিল্পী, লোকেশনকে খুব মিস করেন মেহজাবীন। বলেন, ‘দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে নাট্যাঙ্গনের সবাই একটা পরিবারের মতো হয়ে গেছি। এ কারণে সবাইকে মিস করি। এবার ‘পুনর্জন্ম’-এর শেষ পর্বের শুটিং করতে গিয়ে অনেক দিন পর উত্তরা গেলাম। ওখানে অনেকগুলো হাউসে রাত-দিন অনেকগুলো ইউনিটের শুটিং হয়। আগে সবার সঙ্গে দেখা হতো, কথা, শুটিংয়ের ফাঁকে অনেক মজার আড্ডা হতো। সেটা অনেক দিনই মিস করে আসছি।’
নাটকে ভালো চিত্রনাট্যের কিছুটা অভাবের কথা বললেও এ সময়ে কিছু ওটিটির কাজ করছেন মেহজাবীন। চলতি বছরের শুরু দিকে ওয়েব সিরিজ ‘দ্য সাইলেন্স’ মুক্তি পেয়েছে। সম্প্রতি ভিকি জাহেদের ‘আমি কি তুমি’ নামে সাত পর্বের নতুন আরেকটি ওয়েব সিরিজের কাজ শেষ করলেন এই অভিনেত্রী। সিরিজটিতে তিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
কাজটি করা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সিরিজটির গল্প মূলত তিথির জীবনের গল্পের জার্নি। এই জার্নির পথে পথে গল্পের জনরা পরিবর্তন হয়। বলতে পারেন, বিভিন্ন জনরার সংমিশ্রণের গল্পের সিরিজ এটি। এক সিরিজে একাধিক জনরার গল্পের বিষয়টি আমার কাছে একেবারেই অন্য রকমের মনে হয়েছে। তবে এ ধরনের গল্প নিয়ে কাজে ঝুঁকি আছে। পরিচালক সেই ঝুঁকি নিয়েছেন।
মেহজাবীন আরও বলেন, ‘এক বা দুই জনরার গল্প নিয়ে কাজটি সুন্দরভাবে তুলে আনা খুব কঠিন হয় না। কিন্তু অনেকগুলো জনরার গল্পের কাজের এন্ডিং সুন্দরভাবে শেষ করা কঠিন। এখানে পরিচালক ও শিল্পীরা সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছেন।
তাহলে কি ওটিটিতে ভালো গল্প পাচ্ছেন? জানতে চাইলে মেহজাবীন বলেন, ‘ওটিটিতেও যে গল্পের খুব নতুনত্ব পাচ্ছি, ব্যাপারটি তা–ও না। তবে এখানে সম্ভাবনা আছে। ভালো কাজের সুযোগ বেশি। আর এটি সম্ভব হচ্ছে তুলনামূলকভাবে ভালো বাজেটের কারণে। এতে ভালো গল্পভাবনা, লেখার সময় পাওয়া যায়। সময় হাতে নিয়ে পরিকল্পনা করে কাজ করা যায়। ফলে ভালো কাজের সম্ভাবনা তৈরি হয়।