ঈদগাহ ময়দান ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।র্যাব ডিজি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
আজ বুধবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা চালানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। জঙ্গি হামলার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। এবছর পশুবাহী গাড়ি বা হাটে চাঁদাবাজির তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি র্যাবের কাছে।
এসময় এলিট ফোর্স র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ, র্যাবের অন্যান্য ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও র্যাব সদর দফতরের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এম খুরশীদ হোসেন জানান, নাশকতার মতো অপতৎপরতার বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। সাইবার ওয়ার্ল্ডে মনিটরিং করে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবারো আমরা সুন্দরভাবে এবং সুন্দর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতো পারব।
যেকোনো পরিস্থিতিতে র্যাব প্রস্তুত আছে জানিয়ে র্যাব ডিজি বলেন, দেশজুড়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার সবসময়ের মতো এবারো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ঈদে প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নের নিজ নিজ আওতাভুক্ত এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, র্যাবের পেট্রোল টিম, সিসিটিভি মনিটরিং, চেকপোস্ট, অবজারভেশন পোস্ট দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া, ইউনিফর্ম এবং সিভিলে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
নগরবাসীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরে র্যাব প্রধান বলেন, ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়ি ও শপিংমলের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। সদর দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে, তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্কআউট করা হবে।
তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহের মতো বিভিন্ন জায়গায় ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা রয়েছে, যার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
র্যাব প্রধান বলেন, যারা গ্রামে যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেউ যেন গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরি করতে না পারে তার জন্য সাইবার ইউনিটও কাজ করছে। গাবতলীতে গরু মোটাতাজাকরণ পশু বিক্রি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অনেককে জরিমানা ও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকামুখী যেসব পশুবাহী গাড়ি আসে, দেখা যায় অনেক সময় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি ছিল। তাই মনে হয় এ বছর তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অন্যান্য গরুর হাট ও দেশের অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অনলাইনে কেনাবেচার অনিয়মের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।