ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। ন্যাটোতে যোগ দেয়ার এবং মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরো অস্ত্র পাওয়ার লক্ষ্যে কিয়েভের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এক সফরের সর্বশেষ পর্যায়ে তিনি এ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা রাশিয়ানদের মতো অগ্রসর হচ্ছি, পিছু হটছি না।’ ‘আমরা এখন পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পাঁচ শ’ তম দিনের প্রাক্কালে ইস্তাম্বুলে এ বৈঠক হতে যাচ্ছে। এদিকে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে ব্যাপক প্রত্যাশিত কিয়েভের পাল্টা আক্রমণ ধীর গতিতে অগ্রসর হচ্ছে।
কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য পাঠানোর মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া একটি চুক্তির পাশাপাশি আগামী সপ্তাহের ন্যাটো সম্মেলনের বিষয় এরদোগানের সাথে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরদোগান ইউক্রেন সংঘাত নিরসনের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা একজন গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী।
বিশ্লেষকরা আশা করছেন, জেলেনস্কি আগামী ১১ ও ১২ জুলাই লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদের জন্য সবুজ সংকেত দেয়ার ব্যাপারে এরদোগানকে চাপ দেবেন।
এ নর্ডিক দেশে বসবাসকারী কথিত কুর্দি জঙ্গিদের প্রতি স্টকহোমের শিথিল মনোভাব প্রশ্নে দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে সুইডেনের প্রার্থীতার ক্ষেত্রে তুরস্ক বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এদিকে জেলেনস্কি তার নিজের দেশের জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ চেয়ে বলেছেন, তিনি চান ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার ব্যাপারে এই সম্মেলনে ‘আমন্ত্রণ’ জানানো হোক।
জেলেনস্কি ও এরদোগান উভয়ই রাশিয়ার সাথে জাতিসঙ্ঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান। আর এই চুক্তির অধীনে যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনকে বিশ্ব বাজারে শস্য পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
রাশিয়া নবায়ন করতে সম্মত না হলে চুক্তিটির মেয়াদ আগামী ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।