কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দারের ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আদৌ তিনি প্রেমের টানেই ভারতে এসেছেন, নাকি তিনি পাকিস্তানি গুপ্তচর, তা নিয়েও চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আর এরই মধ্যেই একই ধরনের ঘটনা আরেকটি ঘটল। তবে এবারে ভারত থেকে এক নারী পাকিস্তানে গেলেন প্রেমের টানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকে পাকিস্তানি যুবকের প্রেমে পড়েন রাজস্থানের অঞ্জু। এরপর তিনি পাকিস্তানে চলে যান ওই দেশের উত্তরপশ্চিমের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের দির অঞ্চলে। জানা গেছে, তার প্রেমিকের নাম নাসরুল্লাহ, বয়স ২৯ বছর। অঞ্জুর বয়স নাসরুল্লাহর চেয়ে ছয় বছর বেশি।
কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দারের ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আদৌ তিনি প্রেমের টানেই ভারতে এসেছেন, নাকি তিনি পাকিস্তানি গুপ্তচর, তা নিয়েও চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আর এরই মধ্যেই একই ধরনের ঘটনা আরেকটি ঘটল। তবে এবারে ভারত থেকে এক নারী পাকিস্তানে গেলেন প্রেমের টানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকে পাকিস্তানি যুবকের প্রেমে পড়েন রাজস্থানের অঞ্জু। এরপর তিনি পাকিস্তানে চলে যান ওই দেশের উত্তরপশ্চিমের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের দির অঞ্চলে। জানা গেছে, তার প্রেমিকের নাম নাসরুল্লাহ, বয়স ২৯ বছর। অঞ্জুর বয়স নাসরুল্লাহর চেয়ে ছয় বছর বেশি।
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, গত ২১ জুলাই পাকিস্তানে পৌঁছেছেন অঞ্জু। জানা গেছে, নাসরুল্লাহ দির জেলায় শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু এখন তিনি মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করেন। দু'জনেই জানিয়েছেন, তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ হয়। তারা ফেসবুকে কথা বলতে থাকেন এবং ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। শিগগিরই তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। এখন অঞ্জু তার প্রেমিকের সাথে দেখা করার জন্য পড়শি দেশে পৌঁছে গিয়েছেন।
এদিকে সীমা হায়দার ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করলেও অঞ্জু ভিসা নিয়ে গিয়েছেন পাকিস্তানে। এদিকে অঞ্জু সেদেশে পৌঁছতেই সেখানকার পুলিশ তাকে জেরা করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জেরার মুখে অঞ্জু বলেন, তিনি নাসরুল্লাহকে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না।
এদিকে কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় যুবকের সাথে পাকিস্তানি নারীর 'পাবজি প্রেম' নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ভারতের নাগরিকত্ব পেতে সম্প্রতি সীমা হায়দার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছেন। এদিকে উত্তরপ্রদেশ উগ্রবাদী দমন শাখার গোয়েন্দারা সীমাকে জেরা করেছে। এরই মাঝে এবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তানি নাগরিক সীমা গোলাম হায়দারের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি পাসপোর্ট এবং দুটি ভিডিও ক্যাসেট উদ্ধার করেছে। পুলিশ দাবি করেছে যে সীমা হায়দার ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তার পাকিস্তানের বাড়িটি ১২ লাখ রুপিতে বিক্রি করেন। এরপর ১৫ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই-নেপাল হয়ে ভারতে আসেন।
সীমার দাবি, গত মার্চে নেপালে দু'জনে বিয়ে করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি শচিনের ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এমনকি তার চার সন্তানও সচিনকে 'বাবা' বলে সম্বোধন করে বলে জানান সীমা।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই ভারতের গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করেছিল অবৈধভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে। এদিকে সচিন ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয় অনুপ্রেবেশকারী আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে। সীমা ও সচিন, দু'জনই দাবি করেন, 'গদর' সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তারা।
কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে যে যতদিন যাচ্ছে ততই সীমার সম্পর্কে নতুন নানা তথ্য সামনে আসছে। উত্তরপ্রদেশ এটিএস জেরা করেছে সীমা আর সচিনকে। সেখানে সীমা স্বীকার করে নেন, তার এক ভাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে রয়েছে। এদিকে সীমার সাথে পাকিস্তানের যে পরিচয়পত্র রয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জন্মের পরে যে আই কার্ড পাওয়ার কথা সেটার ইস্যুর তারিখ দেখাচ্ছে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এদিকে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সীমা স্পষ্ট ইংরেজি বলতে ও পড়তে পারেন। যা নিয়ে আরো রহস্য তৈরি হয়েছে।