ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ঘাতক বাসটির সুপারভাইজার মো: ফয়সাল ওরফে মিজানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮।গ্রেফতার মিজান নলছিটি উপজেলার পূর্ব রায়াপুর (বটতলা) গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।রাতে তাকে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখনো ঘাতক বাসের চালক মোহন খান (৪০) এবং চালকের সহকারী (হেলপার) আকাশ ওরফে বুলেট (১৮) পলাতক রয়েছেন।
বরিশাল র্যাব-৮-এর একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে, বাস দুর্ঘটনার দুই দিন পর ঝালকাঠি থানার এসআই সুশংকর মল্লিক বাদি হয়ে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৯৮ ও ১০৫ ধারায় রোববার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাসের চালক মোহন খান, সুপারভাইজার মো: ফয়সাল ওরফে মিজান ও হেলপার আকাশ ওরফে বুলেটকে (১৮) আসামি করা হয়।
ঝালকাঠি থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, সুপারভাইজার মো: ফয়সালকে র্যাব সদস্যরা রাতে ঝালকাঠি থানায় হস্তান্তর করেছে। এই মামলায় বাকি দু’জন- গাড়ির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহামুদ বাচ্চু বলেন, বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী কোথায় পালিয়ে আছে তা আমরাও জানার চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনায় বাস মালিক সমিতি ছয় সদস্যের একটি কমিটি করেছে। আমরাও দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে পারব।
গত শনিবার সকালে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী বাশার স্মৃতি পরিবহন নামক যাত্রীবাহী বাসটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গভীর পুকুরে পড়ে ১৭ যাত্রী নিহত এবং ৩৫ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
