বরগুনার তালতলীতে রেশমা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, রেশমাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী ও স্বজনরা।রেশমা উপজেলার উত্তর গেন্ডামারা এলাকার আনোয়ার হাওলাদরের ছেলে সুমন হোসেনের স্ত্রী এবং ছোটবগী ইউনিয়নের ছিলবারতলী এলাকার সেরাজ মোল্লার মেয়ে।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে তালতলী থানা পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সেরাজ মোল্লা জানান, সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে সুমন ও রেশমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সুমন যৌতুকের জন্য রেশমাকে নির্যাতন করতে থাকেন। কিছু দিন আগে ব্যবসা করার জন্য রেশমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন জামাই সুমন। এরপর রেশমা তার মায়ের কাছে টাকার কথা বলেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করেই জামাই সুমন ও তার আল আমিন নামের এক বন্ধু সেরাম মোল্লার বাড়ি গিয়ে তাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে খবর পাঠানো হয় যে রেশমা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা রেশমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পায়, তাকে মাটিতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। এরপর ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে তালতলী থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, সুমন ও তার আত্মীয় স্বজন তার মেয়েকে প্রতিনিয়তই মারধর করেছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম খান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।