হুন মানেট-কে সোমবার কম্বোডিয়ার নতুন নেতা নিযুক্ত করেন দেশটির রাজা। মানেট তার বাবার কাছ থেকে কার্যকরভাবে এই পদ পেয়েছেন। হুন মানেট-এর বাবা প্রায় চার দশক এই দেশ শাসন করেছেন।
জুলাইয়ের নির্বাচনে বিপুল জয়ের কয়েক দিন পর, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা নেতাদের একজন হুন সেন ঘোষণা করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাচ্ছেন এবং তার বড় ছেলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন।
ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি ১২৫ সদস্যের নিম্নকক্ষে পাঁচটি আসন ছাড়া সবকটি আসনে জয়ী হয়। তবে, প্রধান বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে কৌশলে বাধা দেয়ার পর, এই নির্বাচনকে তামাশা উল্লেখ করে ব্যাপকভাবে নিন্দা করা হয়।
হুন সেনের পক্ষ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পর, রাজা নরোদম সিহামনি সোমবার একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি করেন। এতে তিনি বলেন, পার্লামেন্টের সপ্তম মেয়াদের জন্য ড. হুন মানেটকে তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের পরবর্তী নেতা হওয়ার জন্য, ৪৫ বছর বয়সী এই নেতা ও তার মন্ত্রিসভাকে ২২ আগস্ট নির্ধারিত পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে জিততে হবে।
নিম্নকক্ষ হুন সেনের অনুগত সদস্যে ভরা। তিনি সকল বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্মম পদক্ষেপ নিয়েছেন; বিভিন্ন দল নিষিদ্ধ করেছেন এবং প্রতিপক্ষকে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন।
ফ্রান্সে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত, দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্যাম রেনসি বলেন, হুন মানেটের অধীনে বাড়তি স্বাধীনতা পাওয়ার কোনো আশা নেই। আর, তিনি দেশকে ভিন্নপন্থী প্রধান হিতৈষী চীন থেকেও দূরে সরিয়ে নিতে পারেন।
নিয়োগের আগে তিনি এএফপিকে বলেন, আমি মনে করি এটা একটা সম্পূর্ণ বিভ্রম। অনেকবার নেতা পরিবর্তন করা যায়, কিন্তু ব্যবস্থা না বদলালে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আগামী সরকারে একদল তরুণ মন্ত্রী জায়গা পাবন। কেউ কেউ তাদের বাবার ছেড়ে যাওয়া পদ গ্রহণ করবেন।
প্রশ্ন করা হলে, ছেলের শাসনে হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জোর দিয়ে জানান হুন সেন। তবে, কম্বোডীয় নাগরিকদের প্রতিশ্রুতি দেন যে- তিনি রাজনীতিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।