ঘটনা-দুর্ঘটনাজাতীয়

স্বামীকে ফিরে পেতে ভারতে বাংলাদেশী নারীর সংগ্রাম

ধর্মান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের মুসলিম এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডার সৌরভকান্ত তিওয়ারি। কিন্তু পরে সন্তানসহ স্ত্রীকে ফেলে তিনি পালিয়ে যান নিজ দেশে। সেই স্বামীকে ফিরে পেতে ভারতে গিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন সোনিয়া আখতার নামে ওই বাংলাদেশী নারী।

সেই স্বামী সৌরভকান্ত তিওয়ারির খোঁজে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে নয়ডায় যান সোনিয়া আখতার। বুধবার (২৩ আগস্ট) কর্তৃপক্ষের সামনে নিজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু নথি পেশ করেছেন তিনি। এরপরই সৌরভকান্তকে মেনে নিতে হয় যে এক বছরের আন্নু তারই ছেলে। এরপরই দম্পতির কাউন্সেলিংয়ের লক্ষ্যে সৌরভকান্ত ও সোনিয়াকে নিজের অফিসে ডেকেছিলেন অতিরিক্ত ডিসিপি। এক ঘণ্টা দু’জনে মুখোমুখি বসেছিলেন।

সোনিয়া নিজের সন্তানের জন্মসনদে সৌরভের নামসহ বেশ কয়েকটি প্রমাণ পেশ করেছিলেন পুলিশের সামনে। এক নারী পুলিশ অফিসারের সামনে সোনিয়া দাবি করেছেন যে তিনি কেবল তার স্বামীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে ভারতে এসেছিলেন। সোনিয়া বলেন, কেউ এক কোটি টাকা দিক বা দশ কোটি টাকা দিক, স্বামীকে ছাড়া তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না।

এদিকে, নারী পুলিশ অফিসারের সামনে সোনিয়া আরো দাবি করেন, সৌরভ তাকে বিয়ে করার জন্য মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের কাছে সৌরভ সেই দাবির সত্যতা স্বীকারও করেছেন। সব দিক বিবেচনা করেই নয়ডা পুলিশ এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। ঘটনাস্থল বাংলাদেশে হওয়ায় নয়ডার কনও থানায় এ বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের হবে না। তবে পুলিশ বিষয়টি ছেড়ে দেয়নি।

সোনিয়া এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে একাধিক আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করেছেন। ঢাকায় জমা করা এক হলফনামা এবং বিয়ের কাগজপত্র নয়ডা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন সোনিয়া। সোনিয়ার হলফনামাটি ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল জমা করা হয়েছিল ঢাকায়। সেখানে সৌরভকান্তের ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল। ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে সৌরভ তার নামের থেকে ‘কান্ত’ ও তিওয়ারি পদবী মুছে ফেলেছিলেন।

এছাড়া সৌরভ, নিজের ও তাদের সন্তানের বহু ছবি পুলিশের কাছে জমা দেন সোনিয়া।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button