২৩ অগাস্ট। ভারতের চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ ছোঁয়ার দিন। এবার থেকে এই দিন দেশটিতে উদযাপিত হবে জাতীয় মহাকাশ দিবস। দক্ষিণ আফ্রিকা ও গ্রিস সফর শেষে দেশের মাটি ছুঁয়েই ‘জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান’ স্লোগান তুললেন তিনি। তারপর কালো গাড়িতে জনগণের উদ্দেশে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে গেলেন ইসরোর কার্যালয়ের দিকে। রাস্তার দুদিকে তখন অগণিত মানুষের ভিড়।
বেঙ্গালুরুতে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেখা করলেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে। তিনি মোদিকে চন্দ্রাভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিলেন। মোদির জন্য সেদিন প্রদর্শিত হল বিশেষ প্রেজেন্টেশন। তারপর ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে রেখে বিশেষ কিছু বার্তা দিলেন মোদি।
চাঁদের বুকে চন্দ্রযানের পা ছোঁয়ানোর দিনে দেশে ছিলেন না মোদি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়ালি ইসরো ও কোটি কোটি ভারতীয়র আবেগের সঙ্গে জুড়েছিলেন তিনি। তাই দেশে ফিরেই ছুটলেন ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে থেকে অভিবাদন জানাতে।
বললেন, ‘চাঁদ স্পর্শ করার ঐতিহাসিক ক্ষণ কখনও ভোলা যাবে না। এই ঘটনা বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছেন দেশের বিজ্ঞানীরা। আপনাদের আমি স্যালুট করছি। প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে তার ছাপ ছেড়ে যাচ্ছে। ইসরোর চন্দ্রযানের সৌজন্যে মানবসভ্যতা প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরু লাগোয়া এলাকার ছবি দেখছে। আর এই কাজ করে দেখিয়েছে ভারত।’
ইসরোর মঞ্চ থেকে মোদি ঘোষণা করলেন ‘মুন মিশন চাঁদের রহস্যভেদ করবে। তাই চন্দ্রযান ৩-এর টাচডাউন পয়েন্টের নাম এখন থেকে শিবশক্তি। চন্দ্রযান-২ যেখানে চাঁদকে স্পর্শ করেছিল, এখন থেকে তার নাম তিরঙ্গা। তিরঙ্গা পয়েন্ট এই শিক্ষা দেবে, কোনও ব্যর্থতা চিরস্থায়ী নয়’।
মোদি বলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারত আজ প্রথম সারিতে। এই যাত্রায় বড় ভূমিকা পালন করেছে ইসরো। ইসরো মেক ইন ইন্ডিয়াকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছে।’ সেই কথা মাথায় রেখে ২৩ অগাস্ট চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের দিনটি এখন থেকে জাতীয় মহাকাশ দিবস।