ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণে নিখোঁজ চারজনের মধ্যে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরো একজন।লাশ উদ্ধার হয়েছে জাহাজের মাস্টার রুহুল আমিন খান ও সুপারভাইজার মাসুদুল আলম বেল্লালের।বরিশাল কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার মো: শাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোণে ডুবে যাওয়া জাহাজের মস্টার ব্রিজের ভেতর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
বরিশাল কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার মো: শাফায়েত জানান, বরিশাল থেকে আসা উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ডুবে যাওয়া মাস্টার ব্রিজ উদ্ধারে কাজ করে। মাস্টার ব্রিজের ভেতর থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও জাহাজের ভেতর থেকে সাগর নন্দিনী কোম্পানির অপর একটি জাহাজের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত সাত লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল সরিয়ে ডিপোতে নেয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় জাহাজের মধ্যে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ছিল। উদ্ধার কাজে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ সহযোগিতা করছে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি পরিদর্শন করেন। তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ উদ্ধারকারীদের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, সাগর নন্দিনি-২ নামের জাহাজটি ঝালকাঠি শহরের সুগন্ধা নদীর তীরে ডিপোতে তেল খালাস করার জন্য ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি করে আসে। জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় নদীর অপর প্রান্তে শনিবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। আগুনে দগ্ধ হয় জাহাজের শ্রমিক শাকিল (৩৫), ফরিদুল আলম (৫০), ইকবাল হোসেন (২৭), ও মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৯)। তাঁরা ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল রোববার দুপরে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে জাহাজের গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। আর আজ উদ্ধার করা হলো আরো দু’জনের লাশ। এ নিয়ে নিখোঁজ চারজনের মধ্যে তিনজনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন জাহাজের চালক সরোয়ার হোসেন।