![](https://catvbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, স্যাংশনও চায় না। এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে আহ্বান জানাই, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করেন। উস্কানী দেয়া বন্ধ করেন। আমরা শান্তি চাই।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। যুদ্ধ মানুষের ক্ষতি করে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটির সম্মেলনে আমন্ত্রিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও অংশ নেন। এছাড়াও সারাদেশ থেকে দলটির প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মী ছিলেন সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
উন্নয়ন প্রকল্পকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয় মূল মঞ্চ। ব্যানারে দলটির প্রতিষ্ঠাতাদের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবিও প্রাধান্য পায়। সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনার জনগণ কখনও কষ্টে থাকবে না, অভুক্ত থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের আমলে হত্যা, জঙ্গিবাদ আর বিদ্যুৎবিহীন খাম্বা ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। ভোট দেয়ার সাংবিধানিক অধিকার আওয়ামী লীগই করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনও দুর্নীতি করে টাকা কামাতে ক্ষমতায় আসেনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আঘাত ষড়যন্ত্র আসবে। কিন্তু সেসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আমার লক্ষ্য ছিল একটাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন ব্যর্থ না হয়। এজন্য দেশের মানুষের ভোট দেয়ার সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। জীবন থাকতে মানুষের স্বার্থ নষ্ট হতে দিবো না। ভোট চুরি করলে এদেশের মানুষ কোনোদিন মেনে নেয় না, মেনে নেয়নি।