আন্তর্জাতিক

ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে বন্যায় ভেসে আসছে কুমির, ঢুকছে ঘর-বাড়িতে

অতিবৃষ্টির জেরে ভারতে গঙ্গায় পানি বেড়ে উপচে পড়ছে। এতে সাঁতরে কুমির চলে আসছে লোকালয়ে। ভাসতে ভাসতে ঢুকে পড়ছে ঘর-বাড়িতে। বন্যার পাশাপাশি কুমিরের আতঙ্কে রয়েছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার জেলার বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে শহর থেকে একাধিক কুমির ধরেছে বন দফতরের লোকজন। নদীতে পানি না কমলে সমস্যার সমাধান হবে কী করে, বুঝতে পারছে না সাধারণ মানুষ।

হরিদ্বারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নিরজ বর্মা বলেন, ‘অতিবৃষ্টির জেরে নদী উপচে পড়ছে। এর ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, একাধিক কুমির সাঁতরে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি চলে আসছে। শেষ ১৫ দিনে আমরা অন্তত ১০টি কুমির ধরেছি বিভিন্ন জায়গা থেকে। অনেক ক্ষেত্রে কুমির বাড়ির ভেতরে ঢুকে বসেছিল।’

হরিদ্বারের লাকসর, খানপুর ও রুরকি এলাকায় অনেকগুলো কুমিরকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। খানপুর গ্রামের সাবেক প্রধান নরেশ কুমার বলেন, ‘১৫ জুলাই সোলানি নদীর পানি বাড়ার ফলে একটি কুমির গ্রামের হরিজন বস্তির এক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই পরিবারটিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হয়। বন দফতরের লোকজন এসে কুমিরটি নিয়ে যাওয়ার পর শান্তি পাই।’

হরিদ্বার জেলার খেরি মুবারকপুর এলাকার বাসিন্দা অজিত মাভি বলেন, ‘১৪ জুলাই রাতে আমার বাড়ির খুব কাছে একটি ১০ ফুটের কুমির দেখতে পাই। পর দিন কুমিরটিকে ফাঁদে ফেলে ধরা হয়।’

অজিতের দাবি, ময়লা ফেলে ফেলে গ্রামের একটি পুকুর প্রায় ভরাট হওয়ার অবস্থা। বংশবৃদ্ধিতে ওই রকম জায়গাই পছন্দ কুমিরদের। গ্রামে কুমিরের আনাগোনার পেছনে ওটাই কারণ বলে মনে করছেন অজিত।

হরিদ্বারের রেঞ্জ অফিসার দিনেশ নাউদিয়াল বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা একটি ২০ সদস্যের র‌্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরি করেছি। এর আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সাপ নিয়ে। ওই সময় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫টি করে সাপ ধরা পড়ছিল।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button