বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল দখলকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ইউনিয়নের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে টার্মিনালের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি আফতাব হোসেন। পরে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ১৫ মিনিট পরে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় তারা। পরে কামাল হোসেন লিটন মোল্লা মিছিল সহকারে টার্মিনালে প্রবেশ করলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরে তার লোকজন পুনরায় সড়ক অবরোধ করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দুই দিকে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মহানগর শ্রমিক লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আফতাব হোসেন বলেন, বরিশাল ছাত্রলীগের বিতর্কিতদের দিয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ওই কমিটির বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানালে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সাদিক পন্থী লোকজন। এতে আমাদের ১০-১৫ জন লোক আহত হয়েছে।
এদিকে কামাল হোসেন লিটন মোল্লা টার্মিনাল ছেড়ে চলে যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার গ্রুপের লোকজন জানান, তারা ৬ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য টার্মিনালে গেলে আফতাব হোসেনের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের ৮-১০ লোক আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) এবিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, টার্মিনালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষের কেউ যদি অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টার্মিনাল এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। গত বুধবার ১৮ জুলাই বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের ২৮ সদস্যর কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ। এতে পরিমল চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি বাতিল করে যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে সকালে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে প্রতিবাদ জানানোর সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।