এইচ এম রাসেল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
অর্থের বিনিময়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ তানভির শাহারিয়ার মেডিকেল রির্পোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের মোঃ মাহবুব আলম তুহিন মঙ্গলবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন।
দ্রুত ডাঃ তানভির শাহারিয়ার ও হাসপাতালের হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল কবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন সুত্রে জানাগেছে, তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের মোঃ আজিজুল হক সিকদারের ছেলে মাহবুব আলম তুহিনকে গত ৫ আগষ্ট রাতে প্রতিবেশী ফজলুল হক বাচ্চু, রেজাউল ইসলাম, মোঃ শানু মিয়া ও মজিবুর রহমান খোকন হাওলাদার, মোঃ মিলন গাজী ও শাহীন হাওলাদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ওই রাতেই মাহবুব আলম তুহিনকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই হাসপাতালের আরএমও ডাঃ তানভীর শাহারিয়ার তাকে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় বরগুনা দ্রæত বিচার আদালতে ২ সেপ্টেম্বর তুহিন বাদী হয়ে ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তালতলী থানার এসআই গাজী মাহতাব উদ্দিন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৩ সেপ্টেম্বর আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ তানভির শাহারিয়ার হাসপাতালের হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবিরের যোগাসাজসে অর্থের বিনিময়ে ভুল রিপোর্ট প্রদান করেছেন। মাহবুবুল আলম তুহিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গত ৫ আগষ্ট রাতে কিন্তু ডাঃ তানভীর শাহারিয়ার জখমী রির্পোটে উল্লেখ করেছেন গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে।
এছাড়াও প্রকৃত জখম না দেখিয়ে দায়সারা জখম দেখিয়ে রিপোর্ট প্রদান করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ডাঃ তানভির শাহারিয়ার ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তাও বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করে ভুক্তভোগী রোগী মাহবুব আলম তুহিন মঙ্গলবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিসাব কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল কবির টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ কাজটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের এখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ তানভির শাহারিয়ার অর্থের বিনিময়ে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানের কথা অস্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের রোগীদের এন্টি খাতায় যেভাবে লেখাছিল ওই অনুসাওে আমি রিপোর্ট দিয়েছি। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তেন মং বলেন,বিষয়টি আমাকে জেলা সিভিল সার্জন স্যার জানিয়েছেন।
নথিপত্র দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনা সিভিল সার্জন ডাঃ প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।