জাতীয়প্রধানমন্ত্রী কর্নার

এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো শিক্ষার মান আরো উন্নত করা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার গুণগত মান আরো উন্নত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য যথেষ্ট স্বীকৃতি অর্জন করেছে।চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতায় সজ্জিত দেশের জনশক্তি গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অসামান্য অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো শিক্ষার মান আরো উন্নত করা, যাতে আমাদের শিশুরা সমগ্র বিশ্বের সাথে মিলিয়ে চলতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অসামান্য অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি, কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানো হবে। তাই, আমাদের এই দক্ষতা অর্জনে নজর দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য আমাদের সন্তানদের শিক্ষা, দক্ষতা, চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলতে সবাইকে একসাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’

অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরো মনোযোগ দিতে এবং মেধা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চাকে অন্যের বাচ্চার সাথে তুলনা করবেন না বরং মেধা অনুযায়ী তার দক্ষতা বিকাশ করতে দিন।’

অভিভাবকদের সন্তানদের শিক্ষার প্রতি আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তানরা কোথায় যায় এবং তারা কী করে সেদিকে মনোযোগ দেয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।

তবে যারা সফল হতে পারেনি, তাদের বিচলিত না হয়ে পরের বারের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

পরে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরিসহ মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button