বরিশাল নগরীর কাশিপুর বাজারে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে সবজি বিক্রেতা কামাল হোসেন (৩৮) খুন হয়েছেন। এছাড়াও আরো পাঁচ জন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।নিহত কামাল হোসেন নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাশিপুরের সৈয়দপুর এলাকার ইসকান্দার সর্দারের ছেলে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানিয়েছেন। ঘটনার পর ছুরিকাঘাতকারী মরিচ বিক্রেতা ও সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানাকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন কাশিপুরের তিনু মাঝির ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০), তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও অপর ভাই জয়নাল আবেদীন (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৬০)।
আটক ছুরিকাঘাতকারী সাবেক সেনা সদস্য সোহেল রানা (৫০) নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার সোনাবুদ্দিনের ছেলে।
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন বলেন, ভ্যানগাড়িতে করে কমদামে সবজি ও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন সোহেল রানা। বাজারের ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে মারামারি ও ছুরিকাঘাতে ৬/৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানিয়েছেন, কাশিপুর বাজারে ব্যবসায়ীরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করে। সোহেল রানা বাজারের সামনে এসে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছিলো। তখন নিহত কামালসহ আহতরা এসে ওই দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করে। কিন্তু সোহেল রানা রাজি হয়নি। এতে তাকে বাজারের কয়েকজন সবজি বিক্রেতা মিলে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে সোহেল রানা বস্তা কাটার ছুরি দিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। তার এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে কামালসহ চারজন জখম হয়। তাদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়ার পর কামালকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরিবিভাগের চিকিৎসক।
এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতকারী সাবেক সেনা সদস্যও আহত অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।