ভারতের রাজস্থানে রাজ্যের ভিলওয়ারায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করার পর লাশ একটি কয়লার চুল্লিতে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ওই এলাকার একটি কয়লা চুল্লিতে কাজ করা পাঁচ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ওই কিশোরী ছাগল চরাতে গিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তারা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। পরে রাতে পরিবারের সদস্যরা এলাকার একটি চুল্লির কাছে মেয়েটির জুতা দেখতে পান। চুল্লির ভিতরে উঁকি মারতেই তারা দেখেন কিশোরীর চুড়ি ও হাড় পড়ে রয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয়রা এই অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাদের আটক জিজ্ঞাসাবাদ করে কোটরি থানার পুলিশ।
থানার এসএইচও বলেন, ওই এলাকায় পরপর পাঁচটি চুল্লি রয়েছে এবং বৃহস্পতিবার রাতে সেগুলোর মধ্যে একটি জ্বলছিল। সাধারণত এই চুল্লিগুলো রাতের দিকে বন্ধ থাকে। স্থানীয়রা ওই চুল্লিতে আগুন দেখতে ওই চুল্লির কাছে যান। সেখান থেকে তারা তারা মেয়েটির চুড়ি এবং কিছু হাড় দেখতে পান।
এই ঘটনার পরেই ওই অবৈধ চুল্লিগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই রাজস্থান স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের চেয়ারপারসন সঙ্গীতা বেনিওয়াল একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি তথ্য সংগ্রহের পর তার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তিনি এডিজি (সিভিল রাইটস) এবং পুলিশ সুপারকে একটি চিঠিও লিখেছেন। তাদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ১০ জন এই অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি পাঁচজনের খোঁজ চলছে। পুলিশ গণধর্ষণ ও হত্যার মামলাও নথিভুক্ত করেছে।