বরগুনাবরিশাল

বরগুনায় ইলিশ বিক্রির রাজস্ব আয় বেড়েছে

মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাত্র এক মাসের হিসাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ বিক্রি থেকে ৫.৫৯ শতাংশ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে এ মৌসুমে ইলিশের পরিমান কম পাওয়া যাচ্ছে, তবে ইলিশের বড় সাইজ এবং চড়া মূল্যে জেলে, ব্যবসায়ীরা ভালো লাভ করছেন।

জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরি জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। সমুদ্রে জাল ফেললেই বড় সাইজের রূপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে কমেছে মাছ অবতরণ।

বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিপন হোসেন জানান, গত বছর আগস্ট মাসে মাছ অবতরণ বেশি হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে এ বছর অবতরণ কম হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১২.৬৩ শতাংশ কমেছে মাছ অবতরণ। এর মধ্যে ইলিশ অবতরণ কমেছে ২০.১৬ শতাংশ। চড়া দামের কারণে ইলিশ মাছের অবতরণ কমলেও বেড়েছে রাজস্ব আদায়। গত বছরের তুলনায় ইলিশ থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৫.৫৯ শতাংশ। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করা মাছের মোট দামের শতকরা ১.২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করে সরকার।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানিয়েছেন, সাগরে প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে জেলেরা মাছ শিকার করতে পারেননি। এ কারণে সকল প্রকার মাছের অবতরণই কমেছে। মিশ্রিত মাছের অবতরণও কমেছে ২.৩৬ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button