জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় শিগগিরই ই-ভিসা কার্যক্রমও শুরু করা যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিগগিরই ই-ভিসা কার্যক্রমও শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিদেশে অবস্থান করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রবাসীরা যাতে যথাসময়ে সময়োপযোগী সেবা পান, সেজন্য সরকার সবসময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় বৈদেশিক মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ৩২তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান। 

 উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই- পাসপোর্ট এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রদান সেবা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফসল। বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা এবং উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান, মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি উন্নত দেশগুলোর স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা শিগগিরই ই- ভিসা কার্যক্রমও শুরু করতে পারবো। 

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজ ৩২তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে সুইডেনে ই-পাসপোর্ট সেবা দেওয়া চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ই-পাসপোর্ট জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত; সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং সুইডেনে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহ্দী হাসান। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুনসহ সুইডেনে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে মন্ত্রী সুইডেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৮ আগস্ট বেলজিয়ামের ব্রাসেলস দূতাবাসে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button