মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বামরাইল ইউনিয়নের খোলনা গ্রামে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ভোর ৫টার দিকে তার ভাইয়ের মুরগির ফার্মের সিলিংয়ের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয়, ভুক্তভোগীর সূত্রে জানা যায়, সেলিম তালুকদার ও নুরে আলম শিকদারের স্ত্রীসহ একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদে টাকা নেন তিনি। অর্থনৈতিক অভাব অনটনের কারণে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সোমবার রাতে স্থানীয় রফিক সরদার, সবুজ শিকদার ও মামুন শিকদার রাত ২টা পর্যন্ত সালিশ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তিনি (নিকু বেগম) তার ভাই পিপুল সর্দারের মুরগির ফার্মের সিলিংয়ের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সোহেল ও রুবেল ঢাকায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে ঢাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করছেন। তারই অর্থ যোগদান করতে এলাকাবাসীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার সুদসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ করেন। টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যমে সারারাত সালিশ বৈঠক চলে। এই ঘটনার জের ধরে চাপ সইতে না পেরে ভোর রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
অন্যদিকে, নীকু বেগমের মেয়ে সাথী বেগম (২৬) ও ছেলের বউ রিনা বেগম (৩০) বলেন, তার মামা পিপুল সরদারসহ একাধিক ব্যক্তি মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরুণ হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।