আমতলী

জনবল সংকটে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা:
বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে চলছে অধিকাংশ চিকিৎসক ও বিভিন্ন পদের জনবল সংকটসহ নানান দৈন্যতা ও অব্যাবস্থাপণার মধ্য দিয়ে। ২০০৭ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলে সেই সংকট আরও প্রকট হয়ে দেখা দেয়। শয্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবাদানের এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিতে চেয়েও যেন অসহায়। জনবল সংকট আর সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় মানুষ হাসপাতাল বিমুখ হয়ে পড়েছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডাক্তার আব্দুল মুনায়েম সাদের সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বর্তমান নানা বিষয় নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদের পাশাপাশি মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ও এনেস্থেসিয়াসহ ১১টি জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ রয়েছে। ১১টি পদই শূন্য। এ ছাড়াও মেডিকেল অফিসার ১০টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩ জন। তিনি দুঃখ করে বলেন হাসপাতালে চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জায়গায় বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন দুজন। তিনি আরো জানান আমাদের ল্যাব রয়েছে কিন্তু এমটি ল্যাব নেই, আবার সেই ল্যাব পরিচালনা করতে লোক আনতে হয় জেলা শহর বরগুনা থেকে। ইসিজি করার জন্য নেই কার্ডিওগ্রাফার, নার্সদের মাধ্যমে করাতে হয় ইসিজি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ২টির মধ্যে ১টির স্থাপনা রয়েছে এবং অপরটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

৭টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রর ৭ জন সহকারী সার্জন পদের মধ্যে ২টি পদ দীর্ঘদিন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। ৭১টি পদের মধ্যে ৩৩টি পদই শূন্য। এত সংকটের মাঝেও বহির্বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও জরুরি বিভাগের পাশাপাশি হাসপাতালে চালু রয়েছে ২৪ ঘণ্টার নরমাল ডেলিভারি সেবা।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডাক্তার আব্দুল মুনায়েম সাদ বলেন, অনেক সংকটের মাঝেও সকল প্রকার স্বাস্থ্যসেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নিশ্চত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সংকটের মধ্যে সকলের সহযোগিতা আর আমার ইচ্ছা শক্তি দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। চেষ্টা করছি চালিয়ে নিতে। তিনি আরও বলেন, জরুরিভিত্তিত্তে একটি এম্বুলেন্স ও ডাক্তারদের শূন্যপদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বরগুনা জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলুল হক বলেন, আমতলী হাসপাতালে যেসকল সংকট রয়েছে এটা শুধু মাত্র আমতলী হাসপাতালে নয় এটা সম্পূর্ণ বরগুনার চিত্র। বরগুনা সদর হাসপাতালে ২২ জন কনসাল্টেন্টের বিপরীতে রয়েছেন পাঁচজন কনসালটেন্ট। তিনি আরো জানান বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলার শুধুমাত্র বামনাতে একজন গাইনি কনসালটেন্ট রয়েছেন। এই সকল সংকট মোকাবেলায় কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আমাদের সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আশা করি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button