নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বরগুনা আমতলীতে জোরপুর্বক জমি দখলে বাঁধা দিলে বৃদ্ধা সেলিনা বেগমকে (৬৫) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃদ্ধার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান এমন অভিযোগ করেছেন। স্বজনরা বৃদ্ধাকে উদ্ধার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকায় শুক্রবার।
জানাগেছে, ২০০২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার হাতেম আলী গাজী ও তার বোন আজিতুননেছার কাছ থেকে ২৪৯ নং খতিয়ানে সোয়া ১১ শতাংশ জমি তার দুই ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান ও রফিকুল ইসলামের নামে ক্রয় করেন। ওই জমিতে তারা ঘর-বাড়ী নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন। শুক্রবার দুপুরে আব্দুল্লাহ আল মামুন, তার সহযোগী সাইফ গাজী ও আজিজ খাঁনসহ ৬-৭ জনে ওই জমির টিনের বাউন্ডারীর বেড়া কুপিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে বলে অভিযোগ মিজানুর রহমানের। এমন সময় বৃদ্ধা সেলিনা বেগম তাদের বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
বৃদ্ধা সেলিনা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, ২০০২ সালে ওই জমি দুই ছেলের নামে আমার মৃত্যু স্বামী ক্রয় করেন। গত ২২ বছর ধরে ওই জমিতে বাসা-বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। শুক্রবার দুপুরে আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফ গাজী ও আজিজ খাঁনসহ তার ৬-৭ জন সহযোগী জমিতে টিনের বাউন্ডারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। আমি এতে বাঁধা দিলে আমাকে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি ওদের হাতে-পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। আমি এ ঘটনায় তাদের শাস্তি দাবী করছি।
আহত বৃদ্ধার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমার বৃদ্ধা মাকে বাড়ীতে একা পেয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুল্লাহ আল মামুনের (সাইমুন) সঙ্গে তার মুঠোফোনে (০১৭১৯৬৩৩৭১৫) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, আহত সেলিনা বেগমকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।