খেলাধুলা এগিয়ে নিতে তার সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছি আমরা। খেলাধুলাসহ সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।‘কাবাডি, হাডুডু, ভলিবল ইত্যাদি দেশীয় খেলাগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরকেও খেলাধুলায় আমরা উৎসাহ দেই।বাংলাদেশের ফুটবলররাও আগামীতে বিশ্বকাপে অংশ নিবে বলে আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য এখন থেকেই তাদের তৈরি হতে বললেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭)- ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২২’-এর জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে সারা দেশের ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ খেলোয়াড় অংশ নিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটা একটা রেকর্ড। খেলাধুলাসহ সমাজের সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘খেলার মধ্য দিয়ে সঠিক চর্চা হয়, মন ভালো থাকে। খুব আন্তরিকতার সাথে খেলা দেখতে হবে। আমি আজকে খেলা দেখলাম, খুব ভালো লাগলো। ’
মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ থেকে তরুণ সমাজকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও মনোযোগী হতে হবে। বিভিন্ন আসর থেকে দেশের জন্য ছিনিয়ে আনতে হবে বিজয়। ’
সরকার সবার জন্য খেলাধুলা ও শারীরিক চর্চা নিশ্চিত করতে জেলা উপজেলায় স্টেডিয়াম করার পাশাপাশি ইনডোর স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে ৫৬টি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। সুইমিং পুল তৈরি করা হয়েছে। ৮টি বিভাগে বিকেএসপি স্থাপন করে উন্নত মানের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে। সবার জন্য ক্রিয়া এটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৭ বালক বালিকা দলের জাতীয় পর্যায়ের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাপনী অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত হয়ে রংপুর ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার বালিকা দলের খেলা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন তিনি।