আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের উদ্দেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘আইয়ুব খান ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যাদের সাথে মিলে মিছিল ও মিটিং করেছি তারা এখন সরকারের ভাষায় কথা বলেন। গুলি করে হত্যা করা হলেও একটা বিবৃতি দেন না! ১৪ দলের নেতাদের বলি, আপনারা কিন্তু কেউ রেহাই পাবেন না।তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, এ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। সুতরাং এ সরকারকে বিদায় করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। তাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করতে হবে। ছাত্র, যুবক ও শ্রমিকসহ দেশের সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিদায় করতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্র মঞ্চের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-গণজাগরণ-গণঅভ্যুত্থানের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সভা হয়। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বক্তব্য দেন।
১৪ দলের নেতাদের উদ্দেশে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আইয়ুব খান ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যাদের সাথে মিলে মিছিল ও মিটিং করেছি। তারা এখন সরকারের ভাষায় কথা বলেন। গুলি করে হত্যা করা হলেও একটা বিবৃতি দেন না! মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, যে বিদেশে আছে এবং মারা গেছে সেও আসামি। সেই মামলার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করে একটা বিবৃতি দেন না। ১৪ দলের নেতাদের বলি, একবার চিন্তা করে দেখেন- আপনারা কিন্তু কেউ রেহাই পাবেন না। আর এটা এখন রাজনৈতিক জোট নেই। ১৪ দল হয়ে গেছে সরকারি জোট।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। আর পরিবর্তন হলে এক দলের পরিবর্তনে আরেক দল, এক নেতার পরিবর্তনে আরেক নেতা আসবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণ বলে যে, সরকার পরিবর্তন হয়। কিন্তু আমাদের তো কোনো পরিবর্তন হয় না। এক লোক বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ তো স্বাধীন হই না। তাহলে এ স্বাধীনতার অর্থ কী?’
আবদুর রব বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যেটা অর্জন করেছিলাম, সেটা চুরি হয়ে গেছে। এ ক্ষমতাসীন দল চুরি করে ফেলেছে। আজ আমরা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ করতে চাই। এ লড়াই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, এ লড়াই জনগণের মৌলিক অধিকারের লড়াই এবং এ লড়াই ভোটের অধিকারের লড়াই।