মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ও পরিমান বাড়াতে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছেন জেলে, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ীসহ সবাই। গত জুলাই মাসে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে জেলেরা মাছ শিকার শুরু করেছেন। সাগর নদীতে জেলেদের জালে অন্যান্য মাছসহ রূপালী ইলিশ ধরা পড়ছে। অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এ বছর ইলিশের সাইজও তুলনামূলক বড়। বড় আকৃতির ইলিশ ধরা পড়ায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে বরগুনার পায়রা নদীর একটি ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে নয় হাজার টাকায়। মাছটির ওজন ছিল দুই কেজি ২২৫ গ্রাম। মঙ্গলবার বিকেলে পায়রা নদীর আমতলী লোছা নামক এলাকার জেলে জাহিদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
এটি এ মৌসুমের সেরা বড় ইলিশ বলে দাবি করেন স্থানীয় আড়তদার মো: রাসেল মিয়া।
তিনি জানান, এ বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে এত বড় ইলিশ আর বাজারে আসেনি। মাছটি একনজর দেখার জন্য সবাই ভিড় জমিয়েছিলো।
আমতলীর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার বলেন, জেলেরা ইলিশের অবরোধ সঠিকভাবে পালন করায় নদী-সাগরে অনেক বড় সাইজের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এটা জেলেদের জন্য অনেক সুখবর।
বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা কষ্ট করে নিষেধাজ্ঞা পালন করে এখন সুফল ভোগ করছি সবাই মিলে।’
বরগুনা জেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ভরা মৌসুমে আরো বেশি বড় সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে।