বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে অবৈধ সরকার এক গভীর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছে। সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের পথরেখা আঁকছে।তিনি বলেন,অবৈধ সরকারের অনাচার ও সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে জনস্রোত দেখে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের চক্রান্তমূলক নীলনকশার অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ধরনের সাজা বিএনপিসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকে প্রদান করার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আনা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মিথ্যা মামলায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এ বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ ও স্বেচ্ছাচারী আওয়ামী সরকার কর্তৃক বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে নির্বাচনের প্রাক্কালে অবৈধ সরকার এক গভীর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছে। সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের পথরেখা আঁকছে।
তিনি বলেন, ‘আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী সরকার পথের কাঁটা সরানোর জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, হামলা-মামলা, গ্রেফতারের পর এখন মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া শুরু করেছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতন প্রতিহত করতে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এবারে জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করতে দিবে না।’
রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিহিংসামূলক মামলায় সাজা প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি তার সাজা বাতিলের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।