মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
spot_img
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকরাশিয়ায় পুতিনের সম্মতি ছাড়া কিছুই ঘটে না : জো বাইডেন

রাশিয়ায় পুতিনের সম্মতি ছাড়া কিছুই ঘটে না : জো বাইডেন

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েজেনি প্রিগোঝিন নিহত হওয়ার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি এই খবরে অবাক হননি। তার দাবি, রাশিয়ায় পুতিনের সম্মতি ছাড়া কোনো কিছুই ঘটে না।

তবে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ নেই বলে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রিগোঝিনের মৃত্যু হঠাৎ করে হয়নি। তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। পুতিন তাকে হুমকি বলে মনে করতেন।

এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি এই খবর সত্যি হয়, তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে পুতিন তার বিরোধীদের প্রতি কী ধরনের ব্যবহার করেন।

রাশিয়া জানিয়েছে, বিমানে যাত্রী ও কর্মী মিলিয়ে ১০ জন ছিল, সবারই মৃত্যু হয়েছে। পরে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়েশন জানিয়েছে, যাত্রী তালিকায় ইয়েজেনি প্রিগোঝিনের নাম ছিল। মোট সাত যাত্রী ও তিন বিমানকর্মী ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ছিল।

বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। বুধবার রাতে তিয়েভের এলাকায় তা ভেঙে পড়ে।

এমনিতে যে বিমানে করে প্রিগোঝিন যাচ্ছিলেন, সেটিকে নিরাপদ বিমান বলে মনে করা হয়। গত ২০ বছরে এমব্রেয়ার ১৩৫ বিমান একবারই দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। ওয়াগনার বাহিনীর সাথে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার সেনা বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে।

রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ৩০ সেকেন্ড আগে পর্যন্ত বিমানটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়নি। হঠাৎ, তা নিচের দিকে নেমে যায়।

রোসাভিয়েশন জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। ফৌজদারি তদন্ত হবে।

কী হয়েছিল?
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে কী হয়েছিল তা নিয়ে রহস্য আছে। ২৬ হাজার ফিট উপরে বিমানটি উড়ছিল। যাত্রা শুরুর আধ ঘণ্টা পরে বিমানের সাথে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। বিমানটি নিচের দিকে খাড়া নেমে আসে এবং মাটিতে আছড়ে পড়ে। তাতে আগুন ধরে যায়।

ওয়াগনারের তরফে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছে যে তারা দু’টি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিল।

ডয়চে ভেলের রাশিয়ার ব্যুরো চিফ জুরি জানিয়েছেন, ‘প্রিগোঝিন অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি রাশিয়ার কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এমন সব মন্তব্য করেছেন যা হজম করা রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে কঠিন। এমনটা হতেই পারে, এই বিমান দুর্ঘটনা আসলে কোনো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নয়। প্রিগোঝিন মারা গেলে ওয়াগনার বাহিনী আর টিকে থাকবে কিনা সন্দেহ।

এই বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বশেষ খবর

সর্বাধিক পঠিত