আইন-বিচারজাতীয়

জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে:ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জামায়াতের অতীত ইতিহাস ফিরে আসুক, এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জামায়াতের মিছিল বের হওয়ার তথ্য ছিল কি না— জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের পুলিশ প্রস্তুত ছিল। তারা প্রথমে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করার তথ্য প্রচার করেছে, সেখানে আমাদের পুলিশ ছিল। মিছিল বের করার চেষ্টা করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মৌচাক-মালিবাগে জামায়াতের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১১ জন সদস্য আহত হয়েছে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি কমিশনার বলেন,তারা মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় মিছিল বের করে। আপনারা জানেন, ওই এলাকা তিন থানার মোড়, ফলে প্রত্যেক থানা নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এই সুযোগে বিচ্ছিন্নভাবে একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে তারা। মৌচাকে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ হয়।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান, রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বায়েজীদুর রহমান, রমনা থানার এসআই শহিদুল ওসমান মাসুম, এসআই সুবীর কুমার কর্মকার, এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই মোহাইমিনুল হাসান, এএসআই কবির হোসেন, এএসআই ফিরোজ মিয়া এবং পিওএম পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল সৌরভ নাথ ও কনস্টেবল সাদী মোহাম্মদ।

জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার আছে। কিন্তু নির্দেশদাতা হিসেবে বাইরে থাকা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকেই অভিযান চলছে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button