আন্তর্জাতিকইউরোপ

ওয়াগনার গ্রুপ যা করেছে সেটি বেইমানি এবং রাশিয়ার পিঠে ছুরি চালানোর মতো : পুতিন

রাশিয়ার ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বিদ্রোহ করার পরে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাশিয়াকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জাতির উদ্দেশে সংক্ষেপে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ওয়াগনার গ্রুপ যা করেছে সেটি ‘বেইমানি’ এবং ‘রাশিয়ার পিঠে ছুরি চালানোর’ মতো।

রাশিয়ার সব বাহিনীকে সংহত থাকার আহবান জানান পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, রাশিয়ার সমাজকে যারা বিভক্ত করছে, তারা কোনোভাবেই শাস্তি এড়াতে পারবে না।

ভাষণে পুতিন ইভেয়গেনি প্রিগোঝিনের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি ওয়াগনারের ভাড়াটে সৈন্যদের কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করার জন্য তাদের প্রশংসা করেন।

ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন ১৯১৭ সালের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের উদাহরণও টেনেছেন, যখন রাশিয়ানদের হাতে রাশিয়ানরা নিহত হয়েছিল।

এদিকে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ওয়াগনার গ্রুপ এখন মস্কোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

মস্কোর চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক জোরদার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, তাদের ২৫ হাজার সৈন্য রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

মস্কো থেকে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিভ রোসেনবার্গ বলছেন, পুরো ঘটনাটি ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য খুবই বিব্রতকর হয়ে পড়েছে।

অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক সদরদফতর ঘিরে রেখেছে। এর অসংখ্য ভিডিও এখন অনলাইনে দেখা যাচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক সদরদফতর রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সদর দফতরটি দক্ষিণাঞ্চলের রোস্তভ অন-ডন শহরে অবস্থিত।

তবে এটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না যে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্য নাকি ওয়াগনারের সদস্য।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button