দক্ষিণ আফ্রিকার নারী বিশ্বকাপ স্কোয়াড এবং জাতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে বেতন এবং অন্যান্য বৈষম্য নিয়ে অচলাবস্থার কারণে কর্মকর্তারা রোববার বতসোয়ানার বিপক্ষে একটি ম্যাচে খেলার জন্য ১৩ বছর বয়সী একজন অল্প পরিচিত খেলোয়াড়সহ একটি অস্থায়ী দলকে মাঠে নামতে বাধ্য হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ডেসারি এলিস স্বীকার করেছেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১৩ বছর। ম্যাচের পরে এক সাক্ষাত্কারে, তিনি সমস্যার বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি।
তাৎক্ষণিকভাবে ঠিক কী কারণে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, সে বিষয়ে সাফা কোনো মন্তব্য করেনি, তবে ফুটবল খেলোয়াড়দের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল প্লেয়ার্স ইউনিয়নের সভাপতি থুলাগানিও গাওশুবেলওয়ে বলেছেন, ঘটনাটি আংশিকভাবে খেলোয়াড়দের স্বল্প বেতনের কারণে ঘটেছে।
গাওশুবেলওয়ে তার ইউনিয়নের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের সম্পর্কে বলেছেন, তারা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে, সাফা তাদের চুক্তিতে অর্থ অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না। আমাদের অবশ্যই এই খেলোয়াড়দের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে।
গাওশুবেলওয়ে দাবি করেছেন, সাফা সভাপতি ড্যানি জর্ডান এই অচলাবস্থার জন্য দায়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়া মন্ত্রী জিজি কোডওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি মঙ্গলবার ‘দলের উত্থাপিত গুরুতর উদ্বেগগুলি শুনতে’ খেলোয়াড়দের ইউনিয়নের সাথে বৈঠক করবেন।
কোডওয়া বলেন, বৈঠকে খেলোয়াড়দের ‘কল্যাণ’ এবং তাদের চুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী মঙ্গল ও বুধবার দুই গ্রুপে দলটির নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার কথা।
দক্ষিণ আফ্রিকান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন জানিয়েছে, খেলোয়াড়রাও বিরক্ত হয়েছিল যে বিশ্বকাপের আগে তাদের বিদায়ী খেলা সাকানে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৫ হাজার এবং এটি মোটেও নামী কোনো ফুটবল ভেন্যু নয়।
খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে, এসএবিসি এবং অন্যান্য টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো একটি হোটেলে তাদের টিম বাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্যদের ছবি সম্প্রচার করেছে। সেখানে সাফার সিইও লিডিয়া মনিয়েপাওকে খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে।
গত বছর উইমেন্স আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস জিতে, প্রথম বড় কোনো শিরোপা অর্জন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবুও খেলোয়াড়রা প্রায়ই অভিযোগ করে থাকে, পুরুষদের দল যে ধরনের স্বীকৃতি কিংবা সুবিধা পায়, তা তাদের দেয়া হয় না।
বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ১৫ জুলাই নিউজিল্যান্ডে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৩ জুলাই সুইডেনের বিপক্ষে শুরু হওয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে সুইডেন, আর্জেন্টিনা ও ইতালির সাথে।