জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে নিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট ওয়াশিংটনের বাইরে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তারা উত্তর কোরিয়ার ‘নিরবচ্ছিন্ন হুমকি’ মোকাবেলা করবে এবং ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য একটি ত্রি-পক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হবে। একটি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রচার করবে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি জোরদার করবে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) হোয়াইট হাইজ এ কথা জানায়।
ত্রিদেশীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিন দেশের প্রেসিডেন্ট তাদের ত্রি-পক্ষীয় সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় উদযাপন করবেন। কারণ, তারা তাদের বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের মধ্যে শক্তিশালী জোটকে আরো পুনর্নিশ্চিত করবেন।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসির কাছে গ্রামিন মেরিল্যান্ডে ক্যাম্প ডেভিড প্রেসিডেন্সিয়াল অবকাশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই শীর্ষ সম্মেলনে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর এবং তার বাইরে ত্রি-পক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ হবে।
বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বছরের পর বছর ধরে চলা উত্তেজনা কাটিয়ে ওঠার এবং পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার চলমান ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেণ এবং পরাশক্তি চীনের সাথে সংঘর্ষের ভয়ের মুখে এক সাথে কাজ করার অগ্রাধিকার দিয়েছেন। পিয়ংইয়ং এবং সিউলের মধ্যে সম্পর্ক তাদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, দু’দেশের মধ্যে কূটনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেডসহ অস্ত্রের বিকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিক্রিয়ায়, ইউন দক্ষিণ কোরিয়াকে দীর্ঘস্থায়ী মিত্র ওয়াশিংটনের কাছাকাছি টেনে এনেছে এবং প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি জাপানের সাথে বৈরিতাকে কবর দিতে চেয়েছে।
