বহুল প্রতিক্ষীত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিব)-তামিম সভা বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট)। যার ওপর নির্ভর করছে দেশের ক্রিকেটের পরের পরিকল্পনা। যেখানে কথা হবে বিভিন্ন বিষয়ে, একাধিক ইস্যুতে। উন্মোচন হবে হঠাৎ তামিম ইকবালের অবসরের কারণ। সভায় তামিম রাখবে বেশ কিছু শর্ত-সমীকরণ।
স্পর্শকাতর সভাটি নিয়ে বিশেষ গোপনীয়তা বজায় রাখতে ইচ্ছুক ক্রিকেট বোর্ড। তামিম ইকবালের সাথে শুধুমাত্র অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন থাকবেন এ সভায়। মূলত তামিমের চাওয়াতেই এমন কঠোর অবস্থানে বিসিবি।
সভার আগে এ সম্পর্কে কাউকেই কিছু জানানো হবে না। তবে সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তামিমের সাথে কী আলোচনা হলো, তার একটা সার-সংক্ষেপ সিদ্ধান্ত জানাবেন বিসিবির কর্মকর্তারা। এমনটাই শোনা গেছে বিভিন্ন সূত্রে।
গত মাসে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন হঠাৎ অবসর ঘোষণা করেন তামিম ইকবাল। তবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৩৬ ঘণ্টার মাঝেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। অবসরের পরিকল্পনা দূরে ঠেলে জানান, ফিরবেন ক্রিকেটে। তবে নেন দেড় মাসের ছুটি। ফেরার কথা ছিল এশিয়া কাপ দিয়ে।
তবে ফের এই নিয়ে শঙ্কার কালো মেঘ দানা বাধে ছুটি কাটাতে তামিম ইকবাল দেশ ছাড়ার পরপরই। ছুটিতে যাওয়ার আগে এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ক্রিকেটে ফেরার আগে বিসিবির সাথে বিশেষ এক বৈঠক করতে চান। যা কি-না হবে চেইন অফ কমান্ড মেনে।
তখনই তামিম বলেছিলেন, ওই বৈঠকে তিনি বিশ্লেষণ করবেন, হঠাৎ তার অবসর নেয়ার কারণ। একই সাথে রাখবেন কিছু শর্তও। আর সেগুলোর ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার গতিপথ।
তামিম বলেছিলেন, ‘অবসর নেয়ার অনেক কারণ আছে। দেশে ফিরে বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধানের সাথে বসব। বসে খুব খোলামেলা ও পরিষ্কার আলোচনা করতে চাই যে কেন অবসর নিয়েছিলাম, আমার মাথায় কী চলছিল। ছয় থেকে আট মাস ধরে আমি কেমন অনুভব করছি এবং কেন শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
তার দলে ফেরাও এখন নির্ভর করছে ওই বৈঠকের ওপর দাবি করে তামিম বলেন, ‘এখানে ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আমার মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি কিভাবে তাদেরকে ব্যাখ্যা করতে পারছি, তারা কিভাবে নিচ্ছেন, এটার ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করবে। সব যদি আগের মতোই থাকে, তাহলে তো সেই শূন্যতেই থেকে যাব।’