তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শনিবার তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে ‘অযোগ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আগামী পাঁচ বছর ইমরান লড়তে পারবেন না কোনো নির্বাচনে। এছাড়াও রাজনীতি থেকে তাকে পাঁচ বছরের জন্য থাকতে হবে দূরে।
পাকিস্তানে নির্বাচন হতে চলেছে আগামী নভেম্বরের প্রথমের দিকে। ফলে ইমরানের সেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিস্থিতি থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ জানিয়েছে, আদালত তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধানকে ১ লাখ রুপি জরিমানা করেছে। তোশাখানা উপহারের বিবরণ গোপন করার জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগে ১০ মে এই মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করে। ইমরানের বিচারের সময় ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে ভুয়া বিবরণ জমা দিয়েছেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেদেশের ১৭৪ ইলেকশন অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান খান।
আদালত জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশের একটি চিঠি পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পুলিশ প্রধানের কাছে পাঠানো হবে। এর আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরানকে এই তোশাখানা মামলা ‘অযোগ্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কমিশনই তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা নিয়ে আসে।
মিথ্যা বিবৃতি এবং ভুল ঘোষণাপত্র পেশ করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় উপহার নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ ছিল ইমরানের বিরুদ্ধে।
তোশাখানা হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন একটি বিভাগ, যা অন্যান্য সরকার প্রধান এবং বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা শাসক ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া উপহার সংরক্ষণ করে।
তোশাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন অবৈধভাবে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন সেই সমস্ত উপহার, যা পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসাবে উপহার পেয়েছে।