ব্রিকসে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার জন্য ৪০টি দেশ আবেদন করেছে, সেখান থেকে ছয়টি দেশকে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও নেওয়া হবে। সুতরাং এখনই অন্তর্ভুক্ত না হওয়া অনেক দেশের জন্যই প্রযোজ্য।মন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে দৌড়ে যায় বিএনপি। বিদেশিদের প্রত্যাখ্যাত হয়ে তারা সুর বদলেছে। প্রধানমন্ত্রীকে কিন্তু ব্রিকসে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। সবার সঙ্গে সম্পর্ক, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা চলছি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ আয়োজিত ‘গণহত্যা ও বিচার : রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান’ আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের বড় কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে সমাধান চাই না। বিএনপির কাছে হয়তো সমাধান হচ্ছে ভিন্ন। কূটনৈতিক সমাধান নয়, তারা হয়তো অন্য সমাধান চিন্তা করে। বিভিন্ন সময় মিয়ানমার ফেরত নিতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু তারা কমিটমেন্ট রক্ষা করেনি। আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। এতে অগ্রগতিও আছে। কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে বড় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সর্বত চেষ্টা করে আসছি।
আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিও সব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারেনি। তারা ১৯৯১ সালে, তার আগে ১৯৭৬-৭৭ সালে পারেনি। হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়ে গেছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন পোস্টে নিজে নিবন্ধ লিখে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস না কেনার জন্য, বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসম্যানের কাছে চিঠি লিখেছেন। কিছু কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে স্টেটমেন্ট দিয়েছিল বিএনপি, পরে ধরা খেয়েছিল।