গত ০৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সাভার বড় বাজার এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ডাকাতির ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয় (মামলা নং-৬০, তারিখ-১৮/০৪/২০২২ খ্রিঃ, ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৩৯৫/৩৯৭ ধারা)।
উক্ত মামলার একজন আসামী মোঃ নান্নু মিয়া (৫২)’ গ্রেফতার পরবর্তী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উক্ত ডাকাতি মামলার মূল হোতা মোঃ আনোয়ার হোসেন @শামিম (৫০) সহ টেক্কা মজিবর নামে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। উল্লেখ্য, ডাকাতির দিন ডাকাত দলের সদস্য রাত ২১০০ ঘটিকায় টেক্কা মজিবর, শামীম ওরফে আনোয়ার, রাজন এবং লেদু ওরফে রুহুল আমিন এবং নান্নু মিয়া সিএনজিতে উঠে সাভার বড় বাজারে যায়। পরবর্তীতে রাত ০৩০০ ঘটিকায় তারা সিএনজিটি নদীর পাড়ে দাড় করিয়ে রেখে নদীর পাড়ে থাকা বাল্কহেডের উপরে উঠে যায়। বাল্কহেড থেকে ০২ টা ব্যাটারী, ০১ টা ডায়নামো, ০৪ টা মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে আসে। পরে মালামাল সহ তারা নবাবের বাগ ভাঙ্গারীর দোকানে গিয়ে নেমে যায়।
পরবর্তীতে আশুলিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি, ঢাকা অঞ্চল উক্ত ডাকাতি মামলার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব-৮, বরিশাল বরাবর একটি অধিযাচন পত্র প্রেরণ করে। উক্ত অধিযাচন পত্রের ভিত্তিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৮, সদর কোম্পানী, বরিশালের একটি যৌথ আভিযানিক দল উক্ত মামলার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে প্রাপ্ত মূল হোতা মোঃ আনোয়ার হোসেন @শামিম পিতা-মুনসুর আলী আকন, মাতা- সুফিয়া বেগম, সাং- চন্দনতলা, পোষ্ট-ছোটবগী, থানা-তালতলী, জেলা-বরগুনা’কে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ সময় আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার তালতলী থানাধীন কড়ইবাড়িয়া বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে। পিসিপিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে পূর্বে আরোও একটি মামলা রয়েছে।
( ডিএমপির ওয়ারী থানার মামলা নং-২০/১৭১, তারিখঃ ২৮ জুলাই ২০২২, জিআর-১৭১, তারিখঃ ২৮ জুলাই ২০২২, ধারাঃ ৯(৩) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সংশোধনী ২০০৩, এই মামলায় সে তদন্তে সন্দিগ্ধ)