ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ নারী দল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে টাইগ্রিসরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৬ রানে।হংকংয়ের মিশন রোড গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে যেখানে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৫৯ রান। ইনিংসের শুরুটা একেবারেই ভালো ছিল না টাইগ্রিসদের, মোটে ১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তাদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
বৃষ্টিতে আগেরদিন খেলা মাঠে গড়ায়নি। আজ মঙ্গলবার রিজার্ভ ডেতেও যথা সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি। আজও ছিল খেলা মাঠে না গড়ানোর শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে গড়ায়, তবে তা নেমে আসে ৯ ওভারে।
সাথী রানি, দিলারা আক্তার ও স্বর্না আক্তার আউট হন সমান ৪ রান করেন। সোবহানা মোস্তারি ও অধিনায়ক লতা মন্ডল ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। আর ১ রানেই থামতে হয় মুর্শিদা খাতুনকে।
এরপর দলের হাল ধরেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান। দুজনে মিলে ৭ম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৭ রান। ১৬ বলে সর্বোচ্চ ২১ রান আসে নাহিদার ব্যাটে। রাবেয়া অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে। সালমা খাতুনকে নিয়ে বাকি রান যোগ করেন রাবেয়া। ফাতিমা সানা ২ ওভারে ১০ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তানের মেয়েরা। প্রথম ৪ ওভারে বিনা উইকেটে আসে ২৬ রান। কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া বোলিং নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের। দুই ওপেনার শাওয়াল জুলফিকার (১১) ও এইমান ফাতিমার (১৮) সাথে সাদাফ শামাসও (৮) ফিরে যান।
৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানের শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২০ রান। মারুফা আক্তারের করা ৮ম ওভারে আসে ৭ রান। এই সময়ে ফেরান ০ রানে ফেরান আরেক পাকিস্তানি ব্যাটাট নাতালিয়া পারভেজকে (০)।
ফলে শেষ ওভারে পাকিস্তানের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৩ রান, হাতে ৬ উইকেট। কিন্তু এই সমীকরণ মেলাতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার মেঘলা। দারুণ বোলিংয়ে আটকে দেন পাক কন্যাদের। খরচ করেন মোটে ৬ রান। ফলে ৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং নারী দল।
পাকিস্তান ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার ফাতিমা। ১৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন রাবেয়া খান, একটি করে উইকেট নেন পেসার মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার।