স্পেন ফুটবলের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডে অবস্থা ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে। পরিবেশ হয়ে উঠছে আরো উত্তপ্ত। স্পেনের হয়ে নারী বিশ্বকাপজয়ী ২৩ জন খেলোয়াড়সহ মোট ৮১ জন খেলোয়াড় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। রুবিয়ালেস পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা স্পেনের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্পেনে নারী ফুটবলারদের সংগঠন ‘ফুটপ্রো’র বিবৃতিতে ভুক্তভোগী জেনিফার এরমোসোসহ আরো ৮০ জন ফুটবলার নামসহ স্বাক্ষর করে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তারা বিবৃতিতে লিখেন, ‘বিশ্বকাপের পদক দেয়ার সময় যা কিছু হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বলতে চাই যে- বর্তমান বোর্ড সভাপতি দায়িত্বে থাকলে এই চিঠিতে যারা সই করেছে তারা জাতীয় দলে ফিরবে না।’
এদিকে ঘটনাটি ‘দুজনের সম্মতিতে’ হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন রুবিয়ালেস। বলেছিলেন চুমুটা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সম্মতিসূচক। তবে জেনিফার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই যে- ওই চুমুতে আমার সম্মতি ছিল না। আমি যা বলিনি, তেমন কিছু ছড়ানো হলে সহ্য করব না। তবে এর চেয়েও বেশি মানতে পারব না যদি আমার কোনো কথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়।’
এমন ঘটনায় স্পেন জুড়ে রুবিয়ালেসের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। তবে রুবিয়ালেস জানিয়ে দেন, পদত্যাগ করবেন না তিনি। স্পষ্টই বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করব না। আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব।’ তবে তাকে বরখাস্ত করতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্পেন সরকার। ফিফাও শৃঙ্খলা ভাঙার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে।
উল্লেখ্য, নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে গত রোববার পদক পরিয়ে দেয়ার সময় কাণ্ডটি করেন রুবিয়ালেস। দলের সব ফুটবলারকেই আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালেস। গালে ও কপালে চুমুও এঁকে দেন অনেকের। তবে মাত্রা ছাড়িয়ে যান এরমোসোর ক্ষেত্রে। খানিক সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে আচমকা তার ঠোঁটে চুমু দেন তিনি।