এইচ.এম. রাসেল নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের বদলীর আদেশ প্রতাহারের দাবী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় তার বদলী আদেশ প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসুচীর দেয়া হবে বলে জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাকমীর্ ও সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার তার বদলীর আদেশের খবরে আমতলী উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত এ বদলী আদেশ প্রত্যাহার দাবী জানান তারা।
জানাগেছে, ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর আমতলী আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার হিসেবে মুহাম্মদ আশরাফুল আলম যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি আমতলী উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার কর্ম দক্ষতায় তিনি আমতলী উপজেলার মানুষের নয়নের মনি হয়ে ওঠেছেন। নিরলসভাবে কাজ করে সরকারী সেবা মানুষের দ্বোর গোড়ায় পৌছে দিয়েছেন তিনি। গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আমতলী উপজেলাকে তিনি আপন কোঠরে আগলে রেখেছেন। কিন্তু গত ১৮ ডিসেম্বর উপ—সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কুমিল্লায় বদলী করা হয়। এ বদলীর আদেশের খবর আমতলী উপজেলায় ছড়িয়ে পরলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ তার এ বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসারের বদলীর আদেশ দ্রুত প্রত্যাহার না করলে ঢাকা—কুয়াকাটা মহাসড়ক আটকে দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে মানববন্ধনসহ উপজেলা শাডসাউন কর্মসুচী ঘোষনার কর্মসুচী গ্রহন করা হবে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা বলেন, বদলীর আদেশ প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসুচী গ্রহন করা হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার একজন সৎ মানুষ। এমন একজন সৎ মানুষের বদলী কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত তার বদলীর আদেশ স্থগিতের দাবী জানান তিনি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার একজন সৎ মানুষ। তার বদলীর আদেশে আমিও চিন্তিত। চেষ্টা করছি যাতে তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।