ভারতের বিপক্ষে কিছুদিন আগে বছরের শেষ ম্যাচে হেরেও উঁচু শিরেই সাকিব আল হাসান নতুন বছরে নতুন শুরুর আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আসছে বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা বছর। শুক্রবার বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার হাতেও একই দাবি করলেন সাকিব। ফের বললেন, ২০২৩ হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বছর।
২০২৩ সাল তিন ফরম্যাটের জন্যই দেশের সেরা বছর হবে দাবি করে সাকিব বলেন, ‘আমি শেষ সংবাদ সম্মেলনে যেটা বলেছি, ২০২৩ সালটা আমি মনে করি আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেটের জন্য ইতিহাসের সেরা বছর হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি, মনেপ্রাণেই বিশ্বাস করি এমনটা হবে। আর এটা শুধু একটা ফরম্যাটে না, তিনটা ফরম্যাটেই।’
দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখকদের প্রাচীন সংগঠন বিএসপিএ সাকিব আল হাসানকে শুক্রবার বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদের স্বীকৃতি দিয়েছে। যেখানে উপস্থিত থেকে সাকিব আল হাসান এই সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন। অতঃপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নতুন বছরের নতুন লক্ষ্য সম্পর্কে পুরনো কথাটাই বললেন সাকিব।
মানুষের মুখে প্রচলিত আছে, সাকিব আল হাসান যা বলেন বা যা করতে চান, তাই করে দেখান। শুধু ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে নয়, সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবালও বিশ্বাস করেন বিষয়টা। ২০১৭ সালে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সাকিবের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে তামিম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সাকিব যেদিন চায়, সেদিন ও অদম্য। সে যদি নিয়মিত এমন চায়, তাহলে এমন সব পারফরম্যান্স করতে পারবে, যা বিশ্বে কেউ দেখেনি।’
তামিমের কথাই সত্য হোক, নিশ্চয়ই এমন চাওয়া থাকবে ভক্ত-সমর্থকদের। তবে ২০২৩ সালকে সেরা বছরে রূপান্তর করতে সেরা মঞ্চই পাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এই বছরেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ। দুটো টুর্নামেন্টই অনুষ্ঠিত হবে ৫০ ওভারে। যেই ফরম্যাটে শেষ ৩০ ম্যাচের ২১টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সাথে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। ফলে বলা যায় মঞ্চ প্রস্তুত, এবার শুধু প্রদর্শনীর পালা।
সব মিলিয়ে ২০২৩ সালটা খুব ব্যস্ত যাবে বাংলাদেশের। প্রায় প্রতিটি মাসেই মাঠে নামা হবে টাইগারদের। অর্থাৎ বছর জুড়েই থাকবে খেলা। বছর শুরু হবে ৪০ দিনের বিপিএল আসর দিয়ে।এরপর থেকে এই সময়ে ৩০ থেকে ৩৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তাছাড়া ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে সাকিব ও তার দল। আর সর্বনিম্ন ৫টি টেস্ট ম্যাচে সাদা পোশাকে দেখা যাবে টাইগারদের।