আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে আবার চালু হচ্ছে ঢাকা-বরগুনা নৌরুটের এম কে শিপিং লাইনসের লঞ্চগুলো। এর আগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, যাত্রী সঙ্কটের কারণে গত ২২ আগস্ট থেকে ওই রুটে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ।
বুধবার এম কে শিপিং লাইনস কোম্পানির মালিক মাসুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো যাত্রী সঙ্কটে পড়ে। এ কারণে ঢাকা-বরগুনা লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এতে সঙ্কটে পড়েন ওই নৌরুটের সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে লঞ্চ মালিকপক্ষও ভাড়া বৃদ্ধি করে। যার কারণে যাত্রী সঙ্কট দেখা দেয়।
ঢাকা-বরগুনা নৌরুটে নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক যাত্রীদের অভিযোগ, জ্বালানি তেলের অজুহাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ডেকের ভাড়া ৭৬৩ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে লঞ্চ মালিকপক্ষ। এতে যাত্রীও কমতে থাকে। ফলে যাত্রী সঙ্কটে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকপক্ষকে।
মালিকপক্ষের দাবি, যাত্রী সঙ্কটে দেড় থেকে দু’লাখ টাকা লোকসান দিয়ে লঞ্চ চালাতে হচ্ছে। এতে গত ২২ আগস্ট থেকে ঢাকা-বরগুনা নৌরুট বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এই রুটে লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অনেকেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে ফুলঝুড়ি, কাকচিড়া, রামনা, বামনা, আমুয়া, কাঠালিয়া, বেতাগী, নিয়ামতি নৌরুটের নিরাপদে যাতায়াতকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন। পরে সাধারণ যাত্রীদের দাবির কারণে মালিকপক্ষ ভাড়া কমিয়েছে।
এ বিষয়ে বেতাগী লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো: কামাল হোসেন পল্টু বলেন, ‘যাত্রী বাড়ানোর জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে লঞ্চ মালিকপক্ষ এখন ভাড়া কম নেয় বলে জানা গেছে।’
বেতাগী লঞ্চঘাট শ্রমিক মো: সাহারুল হাওলাদার বলেন, ‘যাত্রী বেশি হলে কিছু টাকা আয় হবে, এতে ভালোভাবে চলতে পারবো।’
আবার এই নৌরুটে লঞ্চ চালু হওয়ার সংবাদে সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
বেতাগী পৌর শহরের কাপড়ব্যবসায়ী মো: মানিক খান বলেন, ‘হঠাৎ লঞ্চ বন্ধের খবরে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে আবার চালু হতে যাচ্ছে এ সংবাদে মনে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।’
নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াতকারী যাত্রী বেতাগীর পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: মজিবুর রহমান বলেন, ‘সময় বেশি লাগলেও লঞ্চের যাত্রা আরামদায়ক। নিরাপদ যাতায়াতের জন্য মানুষ এখনো লঞ্চ ব্যবহার করে।’
এ বিষয়ে এম কে শিপিং লাইনস কোম্পানির মালিক মাসুম খান বলেন, ‘যাত্রী সঙ্কট ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এই ঢাকা-বরগুনা নৌরুট বন্ধ করা হলেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবার চালু করা হবে।
