দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিদেশীদের কোনো চাপ অনুভব করছে না, তবে নিজেদের বিবেকের চাপ অনুভব করছে বলে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।কাদের বলেন, আমেরিকার সাথে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার মান্যবর রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনো আসেননি। তিনি এলেন, দেখে গেছেন।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিটা হাসের সাথে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষ হয় সাড়ে ১২টায়।
তিনি বলেন, আমরা চাপ অনুভব করব কেন? ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। এখানে চাপ অনুভব করব কেন? যদি বলেন, চাপ, তাহলে বিবেকের চাপ।
কাদের বলেন, কথা যেটা, আগামী নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা সব সময় বলি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, আমরা যার সাথে আলাপ করি, আমাদের অঙ্গীকার ও বক্তব্য একটি। এটি অত্যন্ত ক্লিয়ার। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সাথে বলছি। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। দেশের জনগণের কাছে কমিটমেন্ট।
কাদের বলেন, গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আন্দোলনেরই সোনালি ফসল। গণতন্ত্র রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো কমপ্লেইন নিয়ে কথা বলিনি। তার কথা সে বলেছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। মার্কিন অ্যাম্বাসেডর কোথাও তার কথায় কেয়ারটেকার সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। কথা হয়েছে- ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল নির্বাচন নিয়ে।
মার্কিনিদের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেয়া হয়নি এবং সংলাপের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এর আগে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান সেতুমন্ত্রী। এর পৌনে এক ঘণ্টা পর সেখানে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
ওবায়দুল কাদেরের সাথে পিটার হাসের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
পিটার হাসের সাথে তার একজন প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেন।