একইসাথে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে ফিলিস্তিনের দুই বোন। চার বছর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই কীর্তি অর্জন করেছে তারা।
বুধবার আলজাজিরা মুবাশির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ওই দুই বোনের নাম যথাক্রমে মিস কাদিহ (১৪) ও কিনানাহ কাদিহ (১২)। তারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দা।
এ প্রসঙ্গে মিস কাদিহ আলজাজিরাকে বলেছে, আমাদের খুবই সৌভাগ্য যে আমরা পবিত্র কোরআন হিফজ করেছি। দীর্ঘ চার বছরের বিনিদ্র রজনী, পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের ফল এটি।
মিস কাদিহের বয়স যখন ১০ বছর তখন সে হিফজ শুরু করে। শুরুর পথচলা বেশ কঠিন হলেও ধারাবাহিকতা ও নিয়মতান্ত্রিকতা বিষয়টিকে সহজ করে দিয়েছে বলেও জানালো সে।
ছোট বোন কিনানাহ কাদিহও বেশ উৎফুল্ল, যা তার কথাইতেই ফুটে উঠল- ‘আমি খুব ভাগ্যবতী যে আমার বাবা-মাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে এবং সেখানে তাদের মাথায় পরানো হবে মর্যাদার মুকুট।’ মূলত দুই মেয়ের এমন অর্জনে মা-বাবার আনন্দটাই তাদের আরো উচ্ছ্বসিত করে তুলেছে।
দুই মেয়েকে হিফজ করাতে গিয়ে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, আলজাজিরাকে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে তাদের বাবা আবু বাসিম বলেন, ‘আসলে ব্যাপারটি খুব কঠিন ছিল। তাদের খেলাধুলার প্রয়োজন ছিল। এরপরও খেলা ও পড়ার সমন্বয় করে বিষয়টি সামলেছি।’
একইসাথে হিফজের পাশাপাশি তাদের মধ্যে যেন আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভক্তি সৃষ্টি হয়, সে চেষ্টাও করেছেন বলে জানালেন তাদের বাবা।
তিনি জানান, তার মোট পাঁচ সন্তান। তাদের মধ্যে চারজন মেয়ে ও একজন ছেলে। বড় দুই মেয়ে সবে হিফজ সম্পন্ন করল। তৃতীয় মেয়েটিও হিফজের পথে যাত্রা শুরু করেছে। আর তার স্ত্রী- তিনিও এরই মধ্যে ২০ পারা মুখস্থ করে ফেলেছেন। খুব শিগগির-ই মেয়েদের মতো তিনিও পবিত্র কোরআনের হাফেজা হবেন।
মেয়েদের সাফল্য বর্ণনা করতে গিয়ে আবু বাসিম বলেন, ‘এমন অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই খুশির বিকল্প কিছু হয় না।’
আর তাদের মা বলেন, ‘এর আগে জীবনে আমি এত আনন্দ অনুভব করেননি। আমি তাদের সাহায্য করি এবং অনুসরণ করছি। তাদের নিয়ে আমি বেশ গর্বিত।