জাতীয়রাজনীতি

নিজের অধিনে নির্বাচনে কেউ পরাজিত হতে চাইবে এটা আশা করা পাগলামি : জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, দেশের বর্তমান শাসন পদ্ধতিতে শতকরা একশো ভাগ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। মন্ত্রীসভা ও সংসদ পরিবর্তন করে কোন লাভ নেই। নিজের অধিনে নির্বাচনে কেউ পরাজিত হতে চাইবে এটা আশা করা পাগলামি। বর্তমান পদ্ধতিতে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের ক্ষমতার বাইরে আনতে হবে। 

তিনি বলেন,সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে এর কোন অর্থ নেই। কারণ ১৯৯১ সালে ও ২০০৮ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়নি। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া সব সময় সংবিধান মানেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে ব্যবস্থা ছিল তাও এখন বাতিল হয়েছে। তাই এখন একটি নতুন ব্যবস্থা করা জরুরি, কোন সরকার যাতে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে না পারে। সরকার যদি আগ্রহ দেখায় অথবা সবাই যদি একটি ফর্মুলায় আসতে চায় তবে আমরাও একটি প্রস্তাব দেব। আমরা যে প্রস্তাব দেব তা হয়তো শতভাগ গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তবে সবার আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি চিরস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে। সেজন্য সরকারকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। 

সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনাকালে এসব কথা বলে জিএম কাদের।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত সহ সবাই এরশাদ সাহেবের বিপক্ষে আন্দোলন করেছে। আবার বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত সহ সবাই আন্দোলন করেছে ১৯৯৬ সালে যখন বিএনপি নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করতে চেয়েছিল। তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন চিরস্থায়ীভাবে আমরা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চাই। ২০০৬ সালের পর বিএনপি আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে চেয়েছিল তখনো জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগসহ সবাই মিলে আন্দোলন করেছিলাম। পরবর্তীতে ‘ওয়ান ইলেভেন’ সরকার আসে। 

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব ০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।    

আওয়ামী লীগ প্লাস বিষয়ক অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। যদি গণতন্ত্র সংজ্ঞায়িত করি গভর্নমেন্ট অফ দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল। আর রাজতন্ত্র যদি হয় গভর্নমেন্ট অফ দ্যা কিং, বাই দ্যা কিং, ফর দ্যা কিং। তাহলে এখন আমাদের দেশে গভর্নমেন্ট অফ দ্যা আওয়ামী লীগ প্লাস, বাই দ্যা আওয়ামী লীগ প্লাস, ফর দ্যা আওয়ামী লীগ প্লাস।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button