আন্তর্জাতিক

তেলের মূল্য নিয়ে রাশিয়ার ডিক্রি জারি

পশ্চিমা দেশগুলোকে নতুন করে কড়া বার্তা পাঠালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার তেলে সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল জি৭ ও তাদের সহযোগী দেশগুলি, সেই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া এবার ঘোষণা করল, পশ্চিমা দেশগুলির কথা মেনে যে যে দেশ রাশিয়ার তেলের ‘প্রাইস ক্যাপ’ মেনে নেবে, তাদের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে রাশিয়া।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের পর রাশিয়া হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের তেল রপ্তানি বিঘ্ন ঘটে তা হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির সংকট দেখা দিতে পারে। তেল নিয়ে পুতিনের ডিক্রি জারির পরই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে এবং মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) তিনি এ ডিক্রি জারি করেন।

জানা যায়, সাত বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের জোট জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার সমুদ্রবাহিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল সর্বোচ্চ ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। তারা জানায়, যেসব কোম্পানি বা দেশ ৬০ ডলারের বেশি  দিয়ে তেল কিনবে তারা এসব জোটভুক্ত দেশগুলোর ইনস্যুরেন্স ও পরিবহণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবে না। চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।

ওই সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। তারা জানায়, মূল্য বেধে দেওয়ায় কঠোর জবাব দেওয়া হবে। অবশেষে মঙ্গলবার সেই জবাব দিলেন পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যেসব দেশ তেলের মূল্য বেঁধে দিয়েছে এবং এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেসব দেশের কাছে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী পাঁচ মাস অপরিশোধিত তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য তেল পণ্য নিয়েও পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট পুতিন এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারবেন বলে ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

রাশিয়া যেন তেল বিক্রি করে যুদ্ধের অর্থের যোগান না দিতে পারে সে জন্য তাদের সমুদ্রবাহিত অপরিশোধিত তেলের একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল পশ্চিমারা। যদিও রাশিয়া এখন ওই মূল্য থেকে কম দামে ভারত-চীনের মতো দেশগুলোর কাছে তেল বিক্রি করছে।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button