ক্রিকেটখেলাধুলা

জানুয়ারিতে বিপিএল, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট

আবারো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন থাকায় পিছিয়ে যেতে পারে বিপিএলের ১০ম আসর শুরুর তারিখ। সকল প্রকার দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সপ্তাহ খানেক পর মাঠে গড়াতে পারে এই আসর।

শনিবার (২৪ জুন) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি বিপিএলের ১০ম আসর শুরু হওয়ার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও দেশের সার্বিক অবস্থা বিচারে নড়চড় হতে যাচ্ছে আসর শুরুর তারিখ। তবে প্লেয়ারর্স ড্রাফট হয়ে যাবে পূর্ব নির্ধারিত সময়েই, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে।

হায়দার মল্লিক তিনি জানান, ‘জাতীয় নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা দেয়নি। আমাদের বিপিএল কবে হতে পারে এ নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের পরপরই যেন বিপিএলটা শুরু করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হয়ত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে হয়ত ১০ তারিখ বা উপযুক্ত দিন দেখে বিপিএল শুরু করব। আমাদের যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে। কারণ এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। আর প্লেয়ার্স ড্রাফটটা আমরা চেষ্টা করব সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে শেষ করতে।

ফ্রাঞ্চাইজিদের সাথে দলের সব সময়ই যোগাযোগ আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বিসিবির ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে যোগাযোগে থাকে। তাদের জানিয়ে দিয়েছি যে সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করব। খেলা শুরু করতে চাই জানুয়ারি থেকে। যদি নির্বাচন তার আগে হয়, তাহলে তখনই করব। ভালো হতো নভেম্বর-ডিসেম্বর দেয়া, কিন্তু তখন জাতীয় দলের খেলা আছে।’

বিপিএল বরাবরই সমালোচিত হয় বারবার ফ্রাঞ্চাইজি পরিবর্তন করে। একেকবার একের দলের ভিন্ন ভিন্ন মালিকানার দেখা যায়। গত বছর বিসিবি তিন বছর মেয়াদে ফ্রাঞ্চাইজি দিলেও প্রথম আসরেও ঢাকার মালিকানা নিয়ে দেখা দেয় বিভিন্ন নাটকীয়তা। পরবর্তন হয় মালিকপক্ষ। এবারো রয়েছে একই সম্ভাবনা।

ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি তো দেখে আর্থিক নিয়ম এবং টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন মানতে হবে। আমাদের কাছে দুই-তিনটা প্রস্তাব আছে। যদি কেউ চালিয়ে নিতে না চায়, আমরা বিকল্প নিব।’

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button